ইস্তেহার প্রকাশ শর্মিলার, গোপন ক্যামেরার ফাঁসে বিজেপি প্রার্থী

এক দিকে স্টিং-অপারেশনে বিজেপি প্রার্থী কোটি-কোটি টাকা খরচের ছবি ধরা পড়ায় বিপাকে বিজেপি। অন্য দিকে রাজ্যের জঙ্গি সংগঠনগুলি প্রচারে আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা বয়কটের ডাক দিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে বনধ ডেকেছে। সব মিলিয়ে চাপ বাড়ছে বিজেপির উপরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

ইস্তেহার হাতে তিন প্রার্থী ইরেন্দ্র লেইচমবাম, ইরম শর্মিলা চানু ও নাজিমা বিবি।—নিজস্ব চিত্র।

এক দিকে স্টিং-অপারেশনে বিজেপি প্রার্থী কোটি-কোটি টাকা খরচের ছবি ধরা পড়ায় বিপাকে বিজেপি। অন্য দিকে রাজ্যের জঙ্গি সংগঠনগুলি প্রচারে আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা বয়কটের ডাক দিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে বনধ ডেকেছে। সব মিলিয়ে চাপ বাড়ছে বিজেপির উপরে। অন্য দিকে আফস্পা ও দুর্নীতি হঠানোর প্রতিশ্রুতি-সহ এ দিন নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল শর্মিলা চানুর দল পিআরজেএ।

Advertisement

মণিপুরের নির্বাচনে ধনবল ও বাহুবলই যে নির্নায়ক বিষয় তা নিয়ে সরব ইরম শর্মিলা চানুর নবগঠিত দল পিআরজেএ। আজ তাদের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের দিনেই অভিনব এক পদক্ষেপ করে তারা। আদালতে গিয়ে ওথ কমিশনারের সামনে শর্মিলা-সহ তাদের তিন প্রার্থী হলফনামা দেন, ভোটে জিতলে বিধায়ক তহবিল, -সহ সব ধরণের আর্থিক লেনদেনের হিসেবে তাঁরা নিয়মিত প্রকাশ করবেন। কোনও ধরণের দুর্নীতির অভিযোগ এলেই পদত্যাগ করবেন বিধায়ক। তাদের ইস্তেহারে প্রধান জোর দেওয়া হয়েছে আফস্পা প্রত্যাহার, লোকায়ুক্ত গঠন, সব দফতরে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ, দুর্নীতি দমনে বিশেষ শাখা গড়া ও ইনারলাইন পারমিট চালু করার উপরে।

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি প্রত্যাহার করে উপ-রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ পুলের স্ত্রী

Advertisement

চানুরা যখন এমন হলফনামা দিচ্ছেন, তখনই একটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে দেখানো হয়, সেনাপতি জেলার মাও কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ওবা জোরাম গোপন ক্যামেরার সামনে চার-পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে, টাকা ও মদ বিলিয়ে ভোটে জেতার ছক শোনাচ্ছেন। যেখানে মণিপুরে প্রার্থীপ্রতি নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া খরচ ২০ লক্ষ। ওবা ক্যামেরায় বলেন, "গত বার তৃণমূলের হয়ে লড়ে চার কোটি খরচ হয়, ২০০৭ সালে খরচ হয়েছে তিন কোটি। এ বার এখন পর্যন্ত এক কোটি ২ লক্ষ খরচ হয়েছে। আশা করছি, পাঁচ কোটি খরচ করলেই জিতব।" পিআরজেএ এই ধরণের রাজনৈতিক নোংরামির নিন্দে করে বলে, মণিপুরের ভোটের এই ছবিটাই বদলে দিতে চেয়েছেন শর্মিলা। কিন্তু এমন ধরণের প্রার্থীরা থাকলে রাজনীতি দুর্নীতিমুক্ত হতে পারবে না। ওবার প্রার্থীপদ খারিজ করার দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকছে তারা। বিজেপি বিষয়টি নিয়ে এখনও মন্তব্য করেনি।

এ দিকে মোদীর সফর বয়কট করে ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা থেকে বনধ ডেকেছে জঙ্গি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ 'কোর-কম'। মোদীর সভার উপরেই বিজেপির লড়াই অনেকটা নির্ভর করছে। তাই সভা সফল করতে উঠেপড়ে লেগেছে গেরুয়া বাহিনী। জঙ্গি হুমকির পরে এ দিন থেকেই এএসপি ইবোমচা সিংহের নেতৃত্বে ইম্ফলের প্রতি ঘরে তল্লাশি শুরু হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে মোড়া হয়েছে শহর। লাংজিং আচৌবা মাঠে মোদীর সভা হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি হাপ্তা কাংজেইবুঙে রাহুল গাঁধীর সভা রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement