উত্তর সিকিমে তুষারপাত চলছে। এ বার গ্যাংটকের আশেপাশেও বরফ পড়ার তুষারপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানাল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই সিকিমে ভারী তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং পাহাড়েও সে সময়ে তুষারপাত হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
একটি শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ক্রমশ উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের দিকে এগিয়ে আসছে। তার জেরেই উঁচু পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত হবে এবং বৃষ্টি হতে পারে সমতল এলাকায়। দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত উত্তরবঙ্গে। শনিবার দুপুরের পর থেকে তাপমাত্রা নামতে থাকে। বিকেলের পর থেকে কনকনে হাওয়া শুরু হয়।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই তুষারপাতের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। সিকিমের প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই সর্তক করা হয়েছে।’’
বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা অত্যন্ত বেশি থাকায় সন্ধে থেকেই কুয়াশা শুরু হয়েছে উত্তরের শহর-গ্রামে। তুষারপাত হলে হাওয়ার কনকনে ভাব আরও বাড়বে। কমবে তাপমাত্রাও। আকাশে মেঘ না থাকায় এখন বিকেল থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মাটির তাপ দ্রুত বের হয়ে যাওয়াতেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে নেমে যাচ্ছে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার টানে আকাশে মেঘ এলে মাটির তাপ দ্রুত বের হতে পারবে না। উল্টে তাপমাত্রা বাড়বে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদেরা।
উত্তর সিকিমে অবশ্য তুষারপাত চলছেই। নিম্নচাপের দাপটে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের আশপাশেও তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারি থেকে দু’দিন তুষারপাত চলতে পারে। শুক্রবার শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও, এ দিন ফের নেমেছে তাপমাত্রা। শুক্রবার ৯ ডিগ্রিতে নেমে আসে জলপাইগুড়ির তাপমাত্রা। কোচবিহারের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে আরও এক ডিগ্রি কমে নেমে আসে সাতে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঘন কুয়াশা থাকবে বলে এ দিনও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।