ব্যাকগ্রাউন্ডে সমুদ্র হোক বা নিজের একরত্তি বারান্দা— সেলফি তুলতে অভ্যস্ত সেলেব থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই। ২০১৪ এর সেই ট্রেন্ড এবার ব্যাকডেটেড। ২০১৫তে নয়া প্রজন্ম মজেছে ‘ভেলফি’তে। ভিডিও থেকে ছবি নিয়ে তা শেয়ার করতে ব্যস্ত বলি তারকা থেকে রাজনীতির ময়দানের দুঁদে নেতা সকলেই। স্মার্টফোনের অ্যাপের সাহায্যে আগে থেকে রেকর্ড করে রাখা গান বা কথা মুহূর্তে তোলা হয়ে যাচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে। বিখ্যাত ছবির কোনও দৃশ্যের ডায়লগ লিপ-সিঙ্ক করে মজার করে তোলা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না রাজনৈতিক নেতাদের সাক্ষাত্কারও। লাইক আর শেয়ারের সুনামিতে ভেসে যাচ্ছে সেই সব ভেলফি।
জার্মানিতে তৈরি এই অ্যাপস গত নভেম্বরে আত্মপ্রকাশ করে। তারপরই পৃথিবীর ১৯২টি দেশের মানুষ ৫০ মিলিয়লেরও বেশি বার এই অ্যাপস্ ডাউনলোড করেছেন। এই হুজুগে মেতেছেন সলমন খান, রণবীর সিংহ, সোনাক্ষি সিংহ, রিচা চাড্ডার মতো ব্যক্তিত্বরা। ভেলফির সহ প্রতিষ্ঠাতা রামমোহন সুন্দরম জানিয়েছেন, “সেলফির তুলনায় ভেলফি অনেক বেশি আকর্ষক। এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা মানুষকে অনেক বেশি ব্যস্ত রাখতে পারছি। আর সেলেবরাও তাদের অডিয়েন্সের কাছে সহজে পৌঁছতে পারছেন।”
অক্ষয় কুমার নিজের আসন্ন ছবি ‘গব্বর ইজ ব্যাক’-এর প্রচার করছেন ভেলফির মাধ্যমেই। গত বছর দিল্লিতে নির্বাচনের আগে আম আদমি পার্টির তরফে অরবিন্দ কেজরিওয়ালও ভোটারদের কাছে পৌঁছতে ভেলফির সাহায্য নিয়েছিলেন। সেলফি থেকে ভেলফি হুজুগের দিকে এগোচ্ছে ওয়েব দুনিয়া।