দিল্লিতে জাতিবিদ্বেষের শিকার হওয়া মেঘালয়ের সেই তরুণী। ছবি: সংগৃহীত।
পেশায় তিনি বিমানসেবিকা। মেঘালয়ের বাসিন্দা। সেই তরুণীকেই দিল্লিতে জাতিবিদ্বেষের শিকার হতে হল। এক বার নয়, পর পর দু’বার। এমনই অভিযোগ তুলেছেন ওই তরুণী। শুধু তা-ই নয়, তাঁর সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, মেঘালয় পর্যটন দফতরকে ট্যাগ করেছেন এবং নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া কমিউনিটি পেজেও তা তুলে ধরেছেন।
একটি সমাজমাধ্যমে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে রিজিজুকে ট্যাগ করার পর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ঘটনার নিন্দা করে ওই তরুণীর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। ঘটনাটি গত সপ্তাহের। বিমানসেবিকা জানিয়েছেন, তিনি উত্তর দিল্লির কমলা নগরে গিয়েছিলেন কাজে। সেখানে প্রথম জাত তুলে তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি, কমলা নগরে একটি রেস্তরাঁয় যাচ্ছিলেন। পথেই কয়েক জন যুবক তাঁকে দেখে উপহাস করেন। জাত তুলে গালাগাল করেন। তরুণী বলেন, ‘‘ওই কথাগুলি শোনার পর থেকে মনে হচ্ছিল, আমি কি নিজের দেশেই আছি? ওরা তো এ দেশেরই লোক। আমিও এ দেশের। তা হলে এ ভাবে অপমান কেন? ভাবতেই পারছি না।’’
তরুণী জানিয়েছেন, এ ভাবে অপমানিত হয়ে অত্যন্ত হতাশ হয়েছেন। কমলা নগরের সেই ঘটনায় অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে তিনি যখন মেট্রোয় উঠেছিলেন, সেখানেও সেই একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। তরুণীর দাবি, মেট্রোতেও তাঁকে জাত তুলে অপদস্থ করেন এক সহযাত্রী। সে কথা শুনে বাকিরাও হাসাহাসি করতে থাকেন। অনেক দেশেই তাঁকে ঘুরে বেড়াতে হয় কর্মসূত্রে, কিন্তু এ রকম অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি বলে দাবি তরুণীর। তাঁর কথায়, ‘‘এই ঘটনায় আমি অত্যন্ত হতাশ। ভারতে জন্মেছি এটা আমার অপরাধ? আমাকে বাকি ভারতীদের মতো দেখতে নয়, এটাও কি অপরাধ?’’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজুকে ট্যাগ করে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তরুণী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজেও উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দা। এ ছাড়াও অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের লোকেদের সঙ্গে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য দিল্লি পুলিশে বিশেষ বাহিনী গঠন করা হয়েছে।