মহিলাদের চুল কাটা নিয়ে গণ-হিস্টিরিয়া এমনিতেই ছড়াচ্ছে কাশ্মীরে। বাড়ছে তার জেরে অশান্তি। এ বার টাকাপয়সা নিয়ে ব্যক্তিগত গোলমালেও ‘এই লোকটা চুল কেটে বেড়ায়’ বলে ঝামেলা পাকিয়ে গণধোলাই খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল উপত্যকায়।
ঘটনা কুপওয়ারার। ক্রালগুন্দের মহম্মদ সুলতান লোনের কাছে ট্রাক্টরচালকের চাকরি করতেন জামিল আহমেদ দার। মাইনে বাবদ বাকি ছিল প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা। গত ১৬ তারিখে প্রাপ্য টাকা চাইতে লোনের বাড়ি হাজির হন জামিল। লোন নাকি নানা ভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে বচসা বাধে। অভিযোগ, এই সময়েই লোন চেঁচামেচি শুরু করেন। সকলকে শুনিয়ে বলতে থাকেন, জামিল নাকি মেয়েদের চুল কেটে দেন। পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘চেঁচামেচি শুনে গ্রামবাসীরা এসে অভিযোগের সত্যি-মিথ্যে জানার
চেষ্টা না করেই জামিলকে পেটাতে শুরু করেন।’’ আহত জামিলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। দায়ের হয় এফআইআর।
চুল কাটার অভিযোগে গন্ডগোল ঘিরে আজ গুলি চলেছে কাশ্মীরের পহলগামে। ‘বেণীসংহারক’ সন্দেহে এক ব্যক্তিকে ধরে এনে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কিছু গ্রামবাসী। নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ি সেখান দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গাড়িটিকে ঘিরে ধরে জনতা। চাকার হাওয়া খুলে দেওয়ার চেষ্টা হয়। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে যেতে শুরু করায় গুলি চালান জওয়ানরা। আহত হন চার গ্রামবাসী।
পুলিশ বারবার বলছে, বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই চুল কাটার গুজবের মোড়কে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ব্যক্তিগত গোলমালে ‘বেণীসংহার’ টেনে আনা বা এই গুজবের ছুতোয় বাহিনীকে আক্রমণ করার ঘটনাগুলো থেকে সেটাই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।