সমকামী যৌনতার সমর্থনে মুখ খুললেন জেটলি, চিদম্বরম

সমকামী অধিকার নিয়ে সোচ্চার হলেন অরুণ জেটলি ও পি চিদম্বরম। তাঁদের বক্তব্য, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা উচিত শীর্ষ আদালতের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৩৩
Share:

সমকামী অধিকার নিয়ে সোচ্চার হলেন অরুণ জেটলি ও পি চিদম্বরম। তাঁদের বক্তব্য, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা উচিত শীর্ষ আদালতের।

Advertisement

টাইমস লিট ফেস্টে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন ‘‘পৃথিবীতে ভিন্ন যৌনতার মানুষ লক্ষ লক্ষ। সম্মতিক্রমে সমলিঙ্গ সম্পর্ক নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের রায় প্রশংসাযোগ্য। সমলিঙ্গীয় সম্পর্কের জন্য হাজতবাস কখনই সমর্থনযোগ্য নয়। তাই ৩৭৭ ধারা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের নতুন করে ভাবনা চিন্তা করা উচিত।’’

জেটলির সুরেই সুর মিলিয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তিনি জানিয়েছেন, সমকামী যৌনতাকে দিল্লি হাইকোর্টের অপরাধের আওতা মুক্ত করার সিদ্ধান্ত অসাধারণ ছিল। সুপ্রিমকোর্টের উচিত সেই সিদ্ধান্তই মেনে নেওয়া।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই প্রথম কেউ সমকামী সম্পর্কের সমর্থনে মুখ খুললেন। এই প্রথম কেউ সম্মতিক্রমে প্রাপ্তবয়স্ক সমলিঙ্গীয় যৌনতাকে ডিক্রিমিনাইলিজেশনের করার জন্য সওয়াল করলেন। তবে এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত বলে জানিয়েছেন জেটলি।

Advertisement

এই সংক্রান্ত আরও খবর...

কেন্দ্রের কোর্টেই বল ঠেলল সুপ্রিম কোর্ট

সমকামীদের উপর পুলিশি নির্যাতন আটকাতে ২০০৯ সালে দিল্লি হাইকোর্ট সম্মতিক্রমে প্রাপ্তবয়স্ক সমলিঙ্গীয় যৌনতাকে অপরাধের আওতামুক্ত করে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কিছু ধর্মীয় সংগঠন। দিল্লি হাইকোর্ট সমকামী অধিকার রক্ষার যে দরজাটা খুলে দিয়েছিল, শীর্ষ আদালতে এসে ফের তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালে সুপ্রিমকোর্টের রায়ে বহাল থাকে ৩৭৭ ধারা। ফলে আইন অনুযায়ী এ দেশে এখনও অপরাধের আওতাতেই রয়ে গেছে সমলিঙ্গীয় যৌনতা।


(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন