রাফাল প্রশ্নে বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির। বৃহস্পতিবার লোকসভায়। ছবি: পিটিআই।
রাফাল চুক্তি নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন অরুণ জেটলি। বিরোধী পক্ষকে বৃহস্পতিবার তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। দুর্নীতি না থাকলেও দুর্নীতির অভিযোগ ‘তৈরি করা’ হচ্ছে, এটাই বিরোধীদের নতুন রণকৌশল, বললেন অর্থমন্ত্রী। কংগ্রেস জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে বলেও জেটলি মন্তব্য করলেন। আর অর্থমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে তুমুল হট্টগোল জুড়ে দিল বিরোধী পক্ষ। মুলতুবি করে দিতে হল লোকসভা।
রাফাল চুক্তিতে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে বলে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী বুধবারই দাবি করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শেষ হওয়ার পর বুধবার রাহুল গাঁধী প্রশ্ন তোলেন— রাফাল চুক্তি নিয়ে কেন মুখ খুলছেন না প্রধানমন্ত্রী? কী দামে ফ্রান্স থেকে কেনা হচ্ছে রাফাল ফাইটার জেট? চুক্তির শর্ত কি বদলানো হয়েছে?
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আগে বলেছিলেন, চুক্তি নিয়ে যাবতীয় তথ্য তিনি সর্বসমক্ষে রাখবেন। তা হলে এখন চুক্তি সংক্রান্ত বিশদ তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন? এ প্রশ্নও তোলা হয় বিরোধীদের তরফে।
মোদী শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে মুখ খোলেননি। কিন্তু অরুণ জেটলি বৃহস্পতিবার রাফাল প্রশ্নে বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন। লোকসভায় এ দিন তিনি বলেন, ‘‘ইউপিএ-র নতুন কৌশল হল দুর্নীতির অভিযোগ তৈরি করা।’’ জেটলি দাবি করেন, রাফাল চুক্তির গোপনীয়তা রক্ষা করা জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। সেই কারণেই রাফাল চুক্তির বিষয়ে বিশদ তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও চুক্তির ক্ষেত্রে গোপনীয়তা একটি আবশ্যিক বিষয়।’’
আরও পড়ুন: মোদীর ‘শূর্পনখা’ মন্তব্যে উত্তাল সংসদ, তীব্র ক্ষোভ বিরোধীদের
কংগ্রেস তথা বিরোধী পক্ষ রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত তথ্য সর্বসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি তুলে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে বলে জেটলি এ দিন অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘‘চুক্তির বিশদ তথ্য প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলে তাঁরা (বিরোধীরা) জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করছেন। এই সব তথ্য সর্বসমক্ষে আনা উচিত নয়, কারণ তাতে তথ্য শত্রুপক্ষের হাতে পৌঁছে যাবে।’’
আরও পডুন: এ কি সংসদ! ভোট ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর
জেটলির এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা শুরু করে কংগ্রেস। লোকসভায় তুমুল হট্টগোল শুরু হয় অর্থমন্ত্রীর ভাষণের মাঝেই। এর পরে মুলতুবি করে দিতে হয় সভা।