National News

বারুদ ভাণ্ডারের পাশে স্পিকারের বাড়ি, তরজা

জম্মুর নাগরোটা এলাকায় সেনার যে গোলাবারুদের ভাণ্ডারের পাশেই জমি কিনেছিলেন বিধানসভার স্পিকার নির্মল সিংহ। সেখানেই বাড়ি তৈরি নিয়ে সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর সরকারের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৮ ০৩:৪৮
Share:

নির্মল সিংহ

জম্মুর নাগরোটা এলাকায় সেনার যে গোলাবারুদের ভাণ্ডারের পাশেই জমি কিনেছিলেন বিধানসভার স্পিকার নির্মল সিংহ। সেখানেই বাড়ি তৈরি নিয়ে সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর সরকারের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির উপস্থিতিতে কাশ্মীরের সংযুক্ত কম্যান্ডের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেখানে সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ওই নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। এর পরেই সেনার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন নির্মল সিংহ। তাঁর অভিযোগ, এ ভাবেই সেনার হাতে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে।

Advertisement

২০১৪ সালে প্রায় ১২ একর জমি কিনেছিলেন নির্মল সিংহ। তার ২০০০ বর্গমিটার জায়গায় একটি বাড়ি তৈরি শুরু করেন তিনি। এর পরেই সেনার তরফে তাঁকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই নির্মাণ ‘বেআইনি’। গোলাবারুদের ওই ভাণ্ডার ও তার লাগোয়া এলাকায় বাস করা সেনা আধিকারিকদের নিরাপত্তার স্বার্থেই ওই চিঠি বলে জানিয়েছে সেনা।

তাতেও অবশ্য দমে যাননি নির্মল। তাঁর দাবি, ‘‘নির্মাণ যেমন চলছে, তেমনই চলবে। কারণ সেখানে কোনও আইনি বাধ্যবাধকতাও নেই। ওটা আমার জায়গা। সেটা যে ভাবে খুশি ব্যবহার করার অধিকার আমার আছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘ওখানে তো একটা গ্রামও রয়েছে।’’ নির্মলের দাবি, তাঁকে হেনস্থা করছে সেনা। কারণ সেনা যে বাধা দিচ্ছে, তার পিছনে নিশ্চয়ই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।

Advertisement

আজ ওই বিষয়টি ওঠে কাশ্মীরের সংযুক্ত কম্যান্ডের বৈঠকে। সেনাবাহিনী এই ঘটনার কথা জানায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তাদের তরফে জানানো হয়, গোলাবারুদ ভাণ্ডারের কাছে নির্মাণকাজ নিষিদ্ধ। এতে যে নিরাপত্তা বিপন্ন হতে পারে তা স্পিকারকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সেনার আপত্তি সত্ত্বেও নির্মাণকাজ চলছে। নাগরোটা কোরের কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল সরনানজিৎ সিংহ বলে, ‘‘এই নির্মাণের ফলে সমস্যা হবে। তাই অবিলম্বে ওই নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া উচিত।’’ মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন