Drone

Jammu and Kashmir: ড্রোন থেকে অস্ত্র সংগ্রহে সক্রিয় পাক ‘মডিউল’! খোঁজ পেতে কাশ্মীর জুড়ে এনআইএ তল্লাশি

বিএসএফের দাবি, লস্কর-ই-তৈবার ধৃত সদস্য, মহম্মদ আলি হুসেনের সূত্র ধরে জম্মু সীমান্তে পাক ড্রোনের অস্ত্র সরবরাহের খবর মিলেছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২২ ১০:৪০
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের অন্তত আটটি জায়গায় ড্রোনের মাধ্যমে জঙ্গিদের অস্ত্র পাঠানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান! সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূত্রে এই খবর পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত পাক অধিকৃত কাশ্মীর লাগোয়া ওই আটটি অঞ্চলে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।

Advertisement

এনআইএ সূত্রের খবর, জম্মু, শ্রীনগর, কাঠুয়া, সাম্বা এবং ডোডা জেলার যে এলাকাগুলিতে তদন্তকারী দল গিয়েছে, সেখানে সাম্প্রতিক কালে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার সহযোগী সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)-এর সক্রিয়তা নজরে এসেছে। কাঠুয়া এবং ডোডা জেলায় পাক জঙ্গিগোষ্ঠীর হ্যান্ডলারদের সম্ভাব্য কয়েকটি ঠিকানাতেও হানা দেয় এনআইএ। এনআইএ-র দাবি, পাক ড্রোনের পাঠানো অস্ত্র সংগ্রহ করে জঙ্গিদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় সক্রিয় একটি ‘মডিউলের’ খোঁজ মিলেছে ইতিমধ্যেই।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে জম্মু সীমান্তে জঙ্গিদের ড্রোনে অস্ত্র পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ করেছিল বিএসএফ। পাকিস্তানি ড্রোনের ফেলে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সময় এক জঙ্গি গুলিতে নিহত হন। নিহত সেই লস্কর সদস্য, মহম্মদ আলি হুসেন ওরফে কাশিম ওরফে জাহাঙ্গিরের সূত্র ধরেই জম্মু সীমান্তে পাক ড্রোনের অস্ত্র সরবরাহের খবর মিলেছিল। বুধবার ওই ধৃত জঙ্গিকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যাওয়া হয়েছিল।

Advertisement

ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পরে আচমকাই কাশিম এক জওয়ানের রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। বিএসএফের তরফে গুলি চালানো হলে তিনি গুরুতর জখম হন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ছিল, ৪০ রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগাজিন-সহ একটি একে-৪৭ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, ১০ রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগজিন-সহ একটি পিস্তল এবং দু’টি গ্রেনেড। এর পরে আরও কিছু সীমান্তবর্তী এলাকায় পাক ড্রোনের আকাশসীমা লঙ্ঘনের খবর পেয়ে সক্রিয় হয় এনআইএ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন