NEET

প্রথম তিন দিনে ২৫ শতাংশ গরহাজির, জেইই নিয়ে ফের প্রশ্ন

শিক্ষামন্ত্রকের ওই পরিসংখ্যান থেকেই জানা গিয়েছে, প্রথম তিন দিন পরীক্ষা দিয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯৫৮ জন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:১৬
Share:

জেইই পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে পড়ুয়ারা। ছবি: পিটিআই

করোনা আবহের মধ্যেও নিট-জি পরীক্ষা নেওয়া নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলেছে বিরোধীরা। সুপ্রিম কোর্টে মামলায় অবশ্য তাদের আর্জি খারিজ হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেইই মেন-এর তিনটি পেপারের পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যেই উঠে এল হাজিরার করুণ চিত্র। প্রায় ২৫ শতাংশ পড়ুয়া পরীক্ষায় বসতে পারেননি। এই পরিসংখ্যান সামনে আসার পরে ফের প্রশ্ন উঠেছে, কেন পরীক্ষা পিছনো হল না।

Advertisement

কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সাম (জেইই)-এ নাম নথিভুক্ত করেছিলেন ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫২১ জন ছাত্রছাত্রী। তার মধ্যে প্রথম তিন দিনে অনুপস্থিত ছিলেন অন্তত ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৬৩ জন পড়ুয়া। যা মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ২৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক এই তথ্য প্রকাশ করেছে। শিক্ষামন্ত্রকের ওই পরিসংখ্যান থেকেই জানা গিয়েছে, প্রথম তিন দিন পরীক্ষা দিয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯৫৮ জন। এর মধ্যে প্রখম দিন হাজিরার হার ছিল ৫৪.৬৭ শতাংশ। দ্বিতীয় দিন এই হার ছিল ৮১ এবং তৃতীয় দিনে ৮২।

আরও পড়ুন: ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কিছুটা উত্তেজনা রয়েছে’, বলছেন সেনাপ্রধান

Advertisement

আরও পড়ুন: নজরে লাদাখ, আজ মস্কোয় মুখোমুখি রাজনাথ ও চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ওয়াকিবহাল মহলের অনেকের মতে অবশ্য প্রতি বছরই নথিভুক্ত পরীক্ষার্থীদের একটা অংশ পরীক্ষায় বসেন না। তবে সেই হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি হয় না বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের মত। কিন্তু এ বার সেই অনুপস্থিতির হার অনেকটাই বেশ। তাঁদের মতে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি সচল না থাকার কারণেই এত বড় সংখ্যক পরীক্ষার্থী গরহাজির হয়েছেন।

আইআইটি, এনআইটি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলিতে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তির জন্য জেইই পরীক্ষায় বসতে হয়। মঙ্গলবার ১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শেষ হবে ৬ সেপ্টেম্বর, রবিবার। পরীক্ষার পুরো ব্যবস্থাপনার ভার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-র উপর। করোনার জন্য এ বছর সেই ব্যবস্থাপনায় বড়সড় রদবদল আনা হয়েছে। দূরত্ব বজায় রাখতে সারা দেশে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ৫৭০ থেকে বাড়িয় ৬৬০টি করা হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে ছিল থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের বন্দোবস্ত। হলের ভিতরে রাখা হয়েছিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। অ্যাডমিট কার্ড পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বার কোড। জেইই মেন-এর প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার র‌্যাঙ্ক অনুযায়ী ২ লক্ষ ৪৫ হাজার পড়ুয়া জেইই অ্যাডভান্স পরীক্ষায় বসতে পারবেন। যার ভিত্তিতে দেশের ২৩টি আইআইটি-তে ভর্তি নির্ধারিত হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন