প্রতীকী ছবি।
একই ছাদনাতলায় দুই পাত্রীকে বিয়ে করলেন এক ব্যক্তি। এমনটাই ঘটেছে ঝাড়খন্ডের সিংভূমে।
ঘটনাটা ঠিক কী রকম?
রাজেশ দেবগামে। বছর তেইশের ওই যুবকের বাবা পেশায় ঝাড়খণ্ডের পুলিশের কনস্টেবল। দু’বছর আগে সুখমতী নামে এক তরুণীর প্রেমে পড়েন তিনি। একই জায়গায় বাড়ি দু’জনের। হাঁড়িয়ার দোকান চালাতেন সুখমতী। প্রথম দেখাতেই একে অপরের প্রেমে পড়ে যান সুখমতী-রাজেশ।
আরও পড়ুন: নাবালক প্রেমিকের সঙ্গে সহবাসের অভিযোগে গ্রেফতার তরুণী
এর মাঝেই কোনও এক কারণে অন্য একটি গ্রামে তাঁর বোনের বাড়ি যেতে হয় রাজেশকে। সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে আলাপ হয় রীতার সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যেও একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যেই রাজেশের বাড়িতে তাঁর বিয়ে নিয়ে কথা-বার্তা শুরু হয়। তখন সুখমতীকেই বিয়ে করবে বলে জানিয়ে দেন রাজেশ। অন্য দিকে, রাজেশকে রীতাও বিয়ের জন্য ক্রমাগত চাপ দিতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে সুখমতীকে সব কিছু খুলে জানান রাজেশ। তখন সুখমতীই রাজেশকে তাঁদের দু’জনকেই বিয়ে করার পরামর্শ দেন। তাঁর কথায়, ‘‘রাজেশকে ছাড়া জীবন ভাবতেই পারি না। কিন্তু রীতার কাছ থেকেও রাজেশকে কেড়ে নেওয়া ঠিক নয়। তা ছাড়া আমাদের আদিবাসী সমাজে পুরুষরা বহুবিবাহ করতেই পারে। সে ক্ষেত্রে রাজেশ দু’জনকেই বিয়ে করতে পারে।’’
রাজেশ ও রীতার পরিবার প্রথমে সুখমতীর এই সিদ্ধান্তে রাজি ছিলেন না, কিন্তু সুখমতীই সবাইকে রাজি করান। একই বিয়ের মণ্ডপে দুই মেয়ের বাবা হাসিমুখে কন্যা সম্প্রদান করেন। রাজেশ-সুখমতী-রীতার বিয়েতে গ্রামবাসী এক অনবদ্য মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে রইল।