বিপদসীমার উপরে ঝিলম, বন্যা সতর্কতা জারি দক্ষিণ কাশ্মীরে

বিপদসীমার চার ফুটেরও বেশি উঁচু দিয়ে বইছে ঝিলমের জল। তার উপরে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সব মিলিয়ে বছর ঘুরতেই ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কাশ্মীরে। জারি করা হয়েছে সতর্কতাও। বুধবার রাত থেকেই ভারী বৃষ্টি হতে শুরু করে কাশ্মীরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৫ ১৫:২৬
Share:

বন্যা বিধ্বস্ত আমরেলি। ছবি: এএফপি।

বিপদসীমার চার ফুটেরও বেশি উঁচু দিয়ে বইছে ঝিলমের জল। তার উপরে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সব মিলিয়ে বছর ঘুরতেই ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কাশ্মীরে। জারি করা হয়েছে সতর্কতাও।

Advertisement

বুধবার রাত থেকেই ভারী বৃষ্টি হতে শুরু করে কাশ্মীরে। বিশেষ করে অনন্তনাগ এবং পুলওয়ামা জেলায় তার প্রভাব পড়ে সবচেয়ে বেশি। বুধবারেই অনন্তনাগের নাই বস্তি, সামসিপুরা, হাসানপুরা-সহ বেশ কিছু এলাকা জলের তলায় চলে যায়। খুলগাম, মিরবাজার, আস্থাল, দেবসারেও জল জমতে থাকে। এ দিন দুপুরে ঝিলম নদীর উচ্চতা ছিল ২৭.১৫ ফুট। যা বিপদসীমার ৪ ফুট উপরে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জলের তোড়ে দক্ষিণ কাশ্মীরের বেশ কিছু সেতু এবং রাস্তা ভেঙে গিয়েছে।

ভারী বৃষ্টিতে খুলগ্রাম জেলায় কয়েক জন মানুষের আটকে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক ও রেল পরিবহণ। লাইন ভেঙে যাওয়ায় বানিহাল এবং কাজিগন্দের মধ্যে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে বানিহাল এবং পিরায় পাহাড়ি রাস্তায় ধস নামায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্যায় নাগরিক সুরক্ষা নিয়ে এ দিন বিকেলে বৈঠক করার কথা কাশ্মীরের ডিভিশনাল কমিশনার আসগর সামিনের। অনন্তনাগ এবং পুলওয়ামা জেলা থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর তোড়জোড় চলছে।

Advertisement

শুধু কাশ্মীরই নয়, রাত থেকে ভারী বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই গুজরাতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ জন। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন