Bihar Assembly Election 2025

১২ আসনের দাবি হেমন্তের দলের, বেঁধে দিল সময়ও! বিহারে ভোটের ময়দানে বিরোধী জোটে টানাটানি

জেএমএমের মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘আসন্ন বিহার ভোটে আমরা মহাগঠবন্ধনের সঙ্গে আছি। সেই জোটে থেকেই লড়তে চাই। বিহারের মহাগঠবন্ধনের নেতাদের কাছে আমাদের অনুরোধ যেন দ্রুত সম্ভব জেএমএমের আসন নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছোন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৫৫
Share:

(বাঁ দিকে) ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

সময় বেঁধে দিয়ে এ বার বিহারের বিধানসভা ভোটে আসন সমঝোতার পথে হাঁটতে চাইছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)। আসন সমঝোতা নিয়ে যেমন এনডিএ-র মধ্যে টানাপড়েন চলছে, তেমনই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ (বিহারের রাজনীতিতে মহাগঠবন্ধন নামে পরিচিত)-তেও ধোঁয়াশা রয়েছে। জোটে কোন কোন দল থাকবে, ক’টা করে আসন পাবে— তা এখনও চূড়ান্ত নয়। তার মধ্যেই বিরোধী শিবিরের জোটসঙ্গী জেএমএম বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে ১২ আসনে লড়ার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। শুধু তা-ই নয়, দু’দিন অর্থাৎ ১৪ অক্টোবরের মধ্যে এ ব্যাপারে ‘ইন্ডিয়া’ যদি কোনও রফাসূত্রে না-আসে তবে হেমন্ত সোরেনের দল নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে! জেএমএমের এক বর্ষীয়ান নেতা বিষয়টি জানিয়েছেন। পাশাপাশি এ-ও দাবি, শুধু আসন চূড়ান্ত করলেই হবে না, তা যেন সম্মানজনক হয়, সেটাও দেখতে হবে।

Advertisement

জেএমএমের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘আসন্ন বিহার ভোটে আমরা মহাগঠবন্ধনের সঙ্গে আছি। সেই জোটে থেকেই লড়তে চাই। বিহারের মহাগঠবন্ধনের নেতাদের কাছে আমাদের অনুরোধ যেন দ্রুত সম্ভব জেএমএমের আসন নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছোন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই আর দেরি করা উচিত নয়।’’

ভোটের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে জেএমএম, দাবি সুপ্রিয়ের। তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমরা জোটের থেকে কিছু ভাল এবং সম্মানজনক আসন আশা করছি।’’ ২০১৯ সালে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি-কে সাতটি আসন ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু তারা শুধু ছাতরা ছাড়া কোথায় জিততে পারেনি। সেই কথা স্মরণ করে সুপ্রিয় বলেন, ‘‘আমরা কিন্তু জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় আরজেডি-র ওই জয়ী প্রার্থীকে রেখেছিলাম।’’ ২০২৪ সালের ভোটেও আরজেডিকে ঝাড়খণ্ড বিধানসভার মোট আসনের পাঁচ শতাংশ অর্থাৎ ছ’টি আসন ছাড়া হয়েছিল। সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেন জেএমএমের মুখপাত্র।

Advertisement

সুপ্রিয় জানান, জেএমএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক রয়েছে আগামী ১৫ অক্টোবর। তার আগেই আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে চাইছে হেমন্তের দল। তাঁর হুঁশিয়ারি, যদি তা হয় তবে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে একক ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও বলেন, ‘‘জেএমএম জানে ভোটে কী ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হয়। আমরা চাই না জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আমাদের কোনও ধরনের বিভ্রান্তি বা ভুল বোঝাবোঝি থাকুক বা তৈরি হোক।’’

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন গত ৬ অক্টোবর নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে জানিয়েছে, এ বার বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে দু’দফায় ভোট হবে। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৬ নভেম্বর। ওই দফায় ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ১০-১৭ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমার পর তা পরীক্ষা হবে ১৮ অক্টোবর। প্রথম দফার ভোটের প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করতে পারবেন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় মোট ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ওই দফার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে ১৩ অক্টোবর। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা করা যাবে। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থীরা চাইলে নাম তুলে নিতে পারবেন। ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর। এ বারের ভোটেও মূল লড়াই এনডিএ বনাম আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধনের মধ্যে। সেই মহাগঠবন্ধনে জেএমএম থাকে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। থাকলেও নিজেদের শর্ত অনুযায়ী আসন পায় কি না, তা নিয়েও চর্চা চলছে বিহারের অন্দরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement