তেজস্বী যাদবের এবং রাহুল গান্ধী। —ছবি : সংগৃহীত
বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে তেজস্বী যাদবকে বিরোধীদের ‘মহাগঠবন্ধন’-এর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস, সিপিআই-এমএল (লিবারেশন) ও মুকেশ সাহনির বিকাশশীল ইনসান পার্টির এক জন করে নেতা উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন বলেও ঘোষণা হতে পারে। এই সবই নির্ভর করছে রবিবার ও সোমবার দিল্লিতে লালুপ্রসাদ, তেজস্বী যাদবের সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বের বৈঠকে কী হয়, তার উপরে।
রবিবার লালুপ্রসাদ, তেজস্বী যাদব-সহ কার্যত লালুপ্রসাদের গোটা পরিবার দিল্লি পৌঁছচ্ছে। সোমবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে বিহারের চাকরির বিনিময়ে জমি কেলেঙ্কারির মামলায় তাঁদের হাজির হতে হবে। এই ফাঁকে তাঁদের সঙ্গে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক হতে পারে। সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী শুক্রবার রাতে বিদেশ সফর থেকে দিল্লি ফেরার পরে ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে তেজস্বীর কথা হয়েছে। অন্য দিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে, কে সি বেণুগোপালও সরাসরি লালুপ্রসাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে সূত্রের দাবি।
বিরোধী শিবির সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে আরজেডি ১৩৪ থেকে ১৩৫টি আসনে ও কংগ্রেস ৫৪ থেকে ৫৫টি আসনে লড়বে বলে ঠিক হয়েছে। সিপিআই-এমএল (লিবারেশন) গত নির্বাচনে ভাল ফল করায় এ বার তাদের আসন বাড়িয়ে ২২টি করা হবে। সিপিএম, সিপিআইয়ের আসন বাড়বে না। দুই দল মিলে আগের ভোটের মতোই ১০টি আসনে লড়বে।
সমস্যা তৈরি হয়েছে দলিত নেতা মুকেশ সাহনিকে নিয়ে। সাহনির বিকাশশীল ইনসান পার্টি বা ভিআইপিকে ১৫-১৬টি আসন ছাড়ার কথা হয়েছে। কিন্তু সাহনি কখনও ৩০টি, কখনও ৪০টি আসন দাবি করছেন। তার সঙ্গে তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিও করে রাখছেন। কংগ্রেস নেতৃত্ব বিরক্ত হয়ে তেজস্বীকে এই জট ছাড়ানোর অনুরোধ করেছে। যদিও দলিত ভোটব্যাঙ্কের জন্য সাহনির ভোট গুরুত্বপূর্ণ বলেও কংগ্রেস নেতৃত্বের মত। একটি সূত্রের দাবি, তেজস্বীর তরফ থেকে সাহনিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অযৌক্তিক দাবি মানা হবে না। প্রয়োজনে সাহনি জোট ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন। এর পরে রাতে ভিআইপি-র যে নতুন পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বিহারের মহাগঠবন্ধনের উল্লেখ নেই। সূত্রের খবর, বিহারের ২৪৩টি আসনের ৯৫ শতাংশ আসনেই বিরোধীদের আসন বণ্টন চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। প্রার্থীতালিকা ঘোষণা না হলেও গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলিতে কারা লড়বেন, তা প্রার্থীদের ঘরোয়া ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লিতে আসন বণ্টনের ঘোষণা হতে পারে। তার পরেই প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়ে যাবে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে