সমীর গায়কোয়াড়কে পেশ করা হচ্ছে আদালতে। ছবি: পিটিআই।
মহারাষ্ট্রের সিপিআই নেতা গোবিন্দ পানসারে খুনের তদন্তে নতুন মোড়। ফোনে আড়ি পেতে পুলিশ জানতে পারে, নামী মরাঠি সাংবাদিককেও হত্যার ছক কষেছিল পানসারে খুনের অভিযুক্তরা। চক্রান্তের অভিযোগে কট্টরপন্থী সংগঠন সনাতন সংস্থার নেতা সমীর গায়কোয়াড়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে গোবিন্দ পানসারে খুন হন। সমাজকর্মী তথা সিপিআই নেতা পানসারেকে প্রাতঃভ্রমণের সময় আততায়ীরা গুলি করে হত্যা করে। মহারাষ্ট্র কুসংস্কার বিরোধী বিল নিয়ে ওঠা বিতর্কের জেরেই তাঁকে খুন হতে হয় বলে পুলিশের ধারণা। এই খুনের পিছনে সনাতন সংস্থা নামে একটি কট্টরপন্থী সংগঠনের হাত রয়েছে বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ ছিল প্রথম থেকেই। সেই কারণে আড়ি পাতা হচ্ছিল ওই সংগঠনের কয়েক জন কর্মকর্তার ফোনে। পুলিশ সূত্রের খবর, ফোনে আড়ি পেতে শোনা যায়, সমীর গায়কোয়াড় কারও সঙ্গে মরাঠি সাংবাদিক নিখিল ওয়াগলেকে খুন করার পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা করছে। পুলিশ জানিয়েছে, সমীর গায়কোয়াড় ফোনে যা আলোচনা করছিলেন, তার সার কথা হল, গোবিন্দ পানসারের খুনের পর তাদের পরবর্তী লক্ষ্য নিখিল ওয়াগলে। এর পরই গায়কোড়ারকে মহারাষ্ট্র পুলিশ গ্রেফতার করে।
প্রাণনাশের আশঙ্কা সামনে আসার পর রাজ্য সরকারের তরফে নিখিল ওয়াগলেকে নিরাপত্তা রক্ষী নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে ওয়াগলে জানিয়েছেন, তিনি সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। কুসংস্কার বিরোধী বিল নিয়ে টেলিভিশনে একটি আলোচনার আয়োজন করেছিলেন নিখিল ওয়াগলে। আলোচনা উত্তপ্ত হয় এবং মাঝ পথেই স্টুডিও ছেড়ে সে দিন বেরিয়ে যান সনাতন সংস্থার এক মুখপাত্র। তার পর থেকেই তিনি নানা হুমকি পাচ্ছিলেন বলে নিখিল ওয়াগলে জানিয়েছেন।