শুধু নামে নেতা নড্ডা, রাশ অমিতের হাতেই

গত কাল বিজেপি আচমকাই দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক ডাকে। বৈঠকের পর রাজনাথ সিংহকে দিয়ে ঘোষণা করানো হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ব্যস্ততার জন্য অমিত শাহ নিজেই বিজেপি সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।

Advertisement

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯ ০২:০৮
Share:

জগৎপ্রকাশ নড্ডা

অমিত শাহই থাকছেন বিজেপির সভাপতি পদে। জগৎপ্রকাশ নড্ডা হলেন কার্যকরী সভাপতি। চলতি বছরের শেষে দলের সাংগঠনিক নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এমনই ব্যবস্থা থাকবে, তেমনটাই ঘোষণা হয়েছে গতকাল। চব্বিশ ঘণ্টা পরে বিজেপির শীর্ষ সূত্রে জানানো হচ্ছে, আগামী পাঁচ বছর দলের সংগঠনে এই জুটির এ ভাবেই কাজ করে যাওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়। যার অর্থ, নরেন্দ্র মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দলের রাশ নিজের হাত থেকে ছাড়বেন না।

Advertisement

গত কাল বিজেপি আচমকাই দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক ডাকে। বৈঠকের পর রাজনাথ সিংহকে দিয়ে ঘোষণা করানো হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ব্যস্ততার জন্য অমিত শাহ নিজেই বিজেপি সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। কিন্তু সংসদীয় বোর্ড আলোচনা করে স্থির করেছে, আপাতত দলের সাংগঠনিক নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অমিত শাহই থাকুন সভাপতি পদে। আর কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলান নড্ডা। কিন্তু বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘আপনারা কি প্রধানমন্ত্রীর টুইট মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন? তিনি স্পষ্ট লিখেছেন, অমিত শাহ ও জে পি নড্ডার নেতৃত্বে দল চলবে। অর্থাৎ, এই যৌথ নেতৃত্বই বজায় থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।’’

বিজেপির সভাপতি পদে অমিত শাহের পাকাপাকি থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও জোরালো হচ্ছে অন্য একটি কারণেও। নেতাদের বক্তব্য, যদি নড্ডাকেই সভাপতি পদে বসানোর হত, তা হলে সংসদীয় বোর্ড গত কালই সে সিদ্ধান্ত নিত। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেই বলেই এক অভিনব কৌশল নেওয়া হল। ৫৮ বছরের নড্ডাকে পাঁচ বছর আগেই বিজেপির সভাপতি করতে চেয়েছিলেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর চাপে অমিত শাহকেই সে বারে দলের সভাপতি করতে হয়। বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘নড্ডার সবথেকে বড় গুণ হল, তিনি ‘ইয়েস ম্যান’। নিজে বেশি ঢাকঢোল পিটিয়ে কাজ করেন না। যা দায়িত্ব দেওয়া হয়, চুপচাপ করেন। মোদী-শাহের কাছে এমন লোকেরই কদর বেশি।’’

Advertisement

আরএসএসের ছাত্র সংগঠন থেকে উঠে আসা হিমাচলি ব্রাহ্মণ পরিবারের এই নেতার জন্ম অবশ্য পটনায়। অমিত শাহের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতেই নড্ডার নাম উত্তরসূরি হিসেবে ভেসে ওঠে। হালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের দায়িত্বও নড্ডার হাতে তুলে দেন অমিত শাহ। সেখানেও নিজের সাংগঠনিক দক্ষতা প্রমাণ করেছেন নড্ডা। আজই বিজেপি দফতরে নড্ডার সম্বর্ধনার আয়োজন করেছিলেন অমিত। যোগী আদিত্যনাথ, স্মৃতি ইরানি, রাম মাধবের মতো নেতাদের সেখানে আনা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন