লালুপ্রসাদের পেনশন মঞ্জুর

সম্মানিত হচ্ছেন ‘জেপি সেনানী’ লালুপ্রসাদ যাদব। বিহার সরকারের জেপি সেনানী সম্মান যোজনা প্রকল্পে পেনশনের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। বিহার সরকার তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। মাসিক ১০ হাজার টাকা পেনশন পাবেন তিনি। এই মর্মে সরকারি নির্দেশও জারি হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:৫২
Share:

সম্মানিত হচ্ছেন ‘জেপি সেনানী’ লালুপ্রসাদ যাদব। বিহার সরকারের জেপি সেনানী সম্মান যোজনা প্রকল্পে পেনশনের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। বিহার সরকার তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। মাসিক ১০ হাজার টাকা পেনশন পাবেন তিনি। এই মর্মে সরকারি নির্দেশও জারি হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

সত্তরের দশকের প্রথমার্ধে তখন জয়প্রকাশ নারায়ণের দিল্লির ইন্দিরা সরকারের বিরুদ্ধে ‘সম্পূর্ণ ক্রান্তি’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। বিশেষ করে উত্তাল উত্তর ভারতের হিন্দি বলয়। দলে দলে ছাত্র-যুবরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সেই আন্দোলনে। আন্দোলন দমনে দিল্লির সরকার বলবৎ করেছে মেনটেন্যান্স অব ইন্টারনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (মিসা)। পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক লালুপ্রসাদ যাদব, ছাত্র নেতা সুশীল মোদী, নীতীশ কুমার সকলেই সামিল সেই আন্দোলনে। মিসা’য় দলে দলে ধরা পড়ছেন আন্দোলনকারীরা। জেলে গেলেন লালু, সুশীল, নীতীশ-সহ বহু ছাত্রনেতা।

এই ঘটনার প্রায় দেড় দশক পর বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেন জেপির অন্যতম শিষ্য লালুপ্রসাদ। কিন্তু তাঁর জেপি সেনানীদের জন্য কিছু করার কথা মাথায় আসেনি। তিন দশক পর বিহারে ক্ষমতাসীন হলেন জেপি আন্দোলনের অন্যতম দুই সেনানী নীতীশ কুমার, সুশীল মোদী। একজন মুখ্যমন্ত্রী, অন্য জন উপ-মুখ্যমন্ত্রী। দু’জনে মিলে পরামর্শ করে চালু করলেন এক অভিনব প্রকল্প, ‘জেপি সেনানী সম্মান যোজনা’। সম্পূর্ণ ক্রান্তি আন্দোলনে সামিল হয়ে বিহারে যাঁরা জেলে গিয়েছিলেন তাঁদের জন্য পেনশন প্রকল্প।

Advertisement

সেই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই পেনশন প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান বিজেপি নেতা সুশীল মোদীও। এত দিনে সেই প্রকল্পে আবেদন করেছিলেন লালুপ্রসাদ (এখন আর তিনি যাদব লেখেন না)। লালুর দক্ষিণ হস্ত, আরজেডি নেতা তথা বিধায়ক ভোলা যাদব বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে পেনশনের জন্য লালুপ্রসাদ আবেদন করেছিলেন। তিনি জয়প্রকাশের অন্যতম শিষ্য। এটা তাঁর প্রাপ্য সম্মান।’’ দফতরের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক সংগ্রামীদের পেনশন বিভাগের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমাদের কাছে আবেদন এসেছিল। তা খতিয়ে দেখার পরে মাসিক ১০ হাজার টাকা পেনশন মঞ্জুর করা হয়েছে। পেনশন অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ ব্যাঙ্কে চলেও গিয়েছে।’’

নিয়ম অনুযায়ী, জেপি আন্দোলনের জেরে ছ’মাস বা তার বেশি সময় জেলে থাকলে দশ হাজার টাকার পেনশন। এক মাস থেকে ছ’মাস জেল খেটে থাকলে পেনশনের পরিমাণ পাঁচ হাজার টাকা।

তবে আবেদন না করায় ‘মুখ্যমন্ত্রী’ নীতীশ কুমার এখনও এই ‘সম্মান’ থেকে বঞ্চিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement