কূটনীতির জালে ধর্ষিতা মা-মেয়ের বিচার

বাড়ির নেপালি পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশি তত্পরতায় আগেই প্রতিবাদ করেছিল সৌদি আরব। এমনকী পুলিশি তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিবের সঙ্গে দেখাও করেন ভারতে সৌদির রাষ্ট্রদূত মহম্মদ আলসতি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৫:৫৮
Share:

বাড়ির পথে নির্যাতিতা মা ও মেয়ে। ছবি: রয়টার্স।

বাড়ির নেপালি পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশি তত্পরতায় আগেই প্রতিবাদ করেছিল সৌদি আরব। এমনকী পুলিশি তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিবের সঙ্গে দেখাও করেন ভারতে সৌদির রাষ্ট্রদূত মহম্মদ আলসতি। আর এ বার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভারতের উপর চাপ বাড়াল নেপাল। ভারতের পক্ষ থেকেও তদন্তে সাহায্য করতে সৌদি প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Advertisement

এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে গুঁড়গাওয়ের এক সৌদি কূটনীতিকের বাড়িতে হানা দেয় হরিয়ানা পুলিশের একটি বিশেষ দল। উদ্ধার করা হয় সম্পর্কে মা-মেয়ে দুই নেপালি মহিলাকে। অভিযোগ, দিনের পর দিন এই দুই মহিলাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। করা হয়েছে ধর্ষণও। এ দিন তাঁদের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন ওই দুই মহিলা।

বছর কুড়ির ওই মহিলা বলেন, “শেষ চার মাস আমার জীবনের সবচেয়ে অভিশপ্ত অধ্যায়। ভেবেছিলাম, কখনও বাড়ির লোকেদের দেখতে পাব না। দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হত। মাঝে মধ্যে সারা দিনে সাত-আট জনও ধর্ষণ করেছে।” প্রায় একই দাবি তার মা, ৪৪ বছরের অন্য মহিলারও। তাঁর দাবি, “কথা না শুনলে খুন করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। ধর্ষণের পাশাপাশি চলত অকথ্য অত্যাচার। ভাল করে খেতে দেওয়াও হত না আমাদের।” সৌদি কূটনীতিক তাঁদের রাজ্যের বাইরেও নিয়ে যেতেন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এবং এই পুরো ঘটনায় তাঁদের সাহায্য করা তো দূর, উল্টে তাঁদের মারধর করতেন ওই কূটনীতিকের স্ত্রী।

Advertisement

সোমবার রাতে পুলিশি অভিযানের সময়ে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেছিলেন ওই কূটনীতিকের পরিবারের লোকজন। এক প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, পুলিশকর্মীদের দিকে থুথু ছেটানো থেকে শুরু করে এক পুলশকর্মীকে মারধরও করেন ওই পরিবারের লোকেরা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

সৌদি কূটনীতিকের কাছে তাঁদের আসল পাসপোর্ট থাকায় নেপাল সরকারের দেওয়া অস্থায়ী পাসপোর্ট নিয়ে এ দিনই দেশে ফিরেছেন ওই দুই মহিলা। “দেশের বাইরে যাওয়ার সময়ে খুবই উত্তেজিত ছিলাম। আর কোনও দিন দেশের বাইরে পা দেব না। ভয়াবহ এই ঘটনার কথা ভোলার চেষ্টা করব।”

এই সংক্রান্ত আরও খবর:

পুলিশি তৎপরতায় ক্ষুব্ধ সৌদি রাষ্ট্রদূত

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement