সিবিআই মামলা থেকে সরলেন তৃতীয় বিচারপতি

৩৩টি নাম নিয়ে আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, লোকসভার সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:০৭
Share:

বিচারপতি এন ভি রামানা।—ফাইল চিত্র।

সিবিআইকে নিয়ে নাটক আর থামছেই না।

Advertisement

আগামিকাল সিবিআই প্রধানের নাম ঠিক করতে নিয়োগ কমিটির বৈঠক। ৩৩টি নাম নিয়ে আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, লোকসভার সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে। তার আগে সুপ্রিম কোর্টে আজ মামলা ছিল অন্তর্বর্তী অধিকর্তা হিসেবে এম নাগেশ্বর রাওয়ের নিয়োগকে নিয়ে। এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘কমন কজ’। কিন্তু নাটকীয় ভাবে ওই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি এন ভি রামানা। মামলা উঠতেই এ কথা ঘোষণা করে তিনি বলেন, রাও তাঁর নিজের রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের লোক। নাগেশ্বর রাওয়ের মেয়ের বিয়েতেও গিয়েছিলেন তিনি। ফলে এই মামলা শোনা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। ঘটনা হল, বিচারপতি রামানা হলেন শীর্ষ আদালতের তৃতীয় বিচারপতি, যিনি এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন। সিবিআইয়ের অধিকর্তা চয়নের জন্য নিয়োগ কমিটিতে রয়েছেন— এই যুক্তি দেখিয়ে প্রথমে মামলা থেকে সরে দাঁড়ান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় সিনিয়র বিচারপতি এ কে সিক্রির কোর্টে। কিন্তু তিনিও এই মামলা শুনতে রাজি হননি। আজ বিচারপতি রামানা সরে গিয়ে মামলাটি অন্য কারও এজলাসে শোনার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

সিবিআইয়ের টানাপড়েন নিয়ে অন্য একটি মামলা অবশ্য উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টে। আইনজীবী এম এল শর্মা সিবিআই অধিকর্তার পদ থেকে অলোক বর্মাকে সরানোর বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন। এ দিন তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ঘটনাচক্রে আজই ছিল বর্মার কর্মজীবনের শেষ দিন। সিবিআইয়ের অধিকর্তা পদ থেকে সরানোর সময়ে কর্মিবর্গ দফতর বর্মাকে ফায়ার সার্ভিসেস ও হোমগার্ডের ডিজি হিসেবে যোগ দিতে বলেছিল। কিন্তু বর্মা তা অস্বীকার করেন। সরকারি সূত্রের খবর, বর্মার ইস্তফা গ্রহণ করা হবে না। কর্মজীবনের শেষ দিনেও বর্মা নতুন পদে যোগ না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বর্মার পেনশনের উপর এর প্রভাব পড়বে। শুনানির জন্য তাঁকে আসতে হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেও। বর্মার বিরুদ্ধে প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর বীপরীত মেরুতে থাকা সিবিআইয়ের প্রাক্তন বিশেষ অধিকর্তা রাকেশ আস্থানার দাদা এম কে আস্থানা খোলা চিঠি লিখে অভিযোগ এনেছেন, বর্মা তাঁর ভাইকে হেনস্থা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

Advertisement

আক্রমণের মুখে পড়েতে হয়েছে এম নাগেশ্বর রাওকেও। লোকসভার কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জন খড়্গে নিয়োগ কমিটির বৈঠকের ঠিক আগেই অভিযোগ এনেছেন, অন্তর্বর্তী অধিকর্তা রাওকে কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া কিংবা নতুন করে মামলা শুরুর ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও তিনি বেছে বেছে বিরোধী নেতাদের হেনস্থা করে চলেছেন।

এ সবেই মধ্যেই সিবিআইয়ের শীর্ষ পদে কে বসবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। নাম উঠেছে গুজরাত পুলিশের ডিজি শিবানন্দ ঝার। তাঁকে নরেন্দ্র মোদী আমদাবাদের পুলিশ কমিশনার করেছিলেন। এনআইএ-র ডিরেক্টর জেনারেল ওয়াই সি মোদী, সিআইএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল রাজেশ রঞ্জন, বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল আর কে মিশ্র এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্পেশাল সেক্রেটারি রীনা মিত্রের নামও সামনে এসেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন