রিপোর্ট চান কমিশনার

বস্তা-দুর্নীতির চক্করে চিন্তায় চটকল

ছত্তীসগ়ঢ়ের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে নিম্ন মানের চটের বস্তা কেনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। টাকার অঙ্ক ৭০০ কোটি। সেই ঘটনা সামনে আসতেই প্রমাদ গুনছে পশ্চিমবঙ্গের চটকলগুলি।

Advertisement

অত্রি মিত্র

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:৫৫
Share:

ছত্তীসগ়ঢ়ের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে নিম্ন মানের চটের বস্তা কেনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। টাকার অঙ্ক ৭০০ কোটি। সেই ঘটনা সামনে আসতেই প্রমাদ গুনছে পশ্চিমবঙ্গের চটকলগুলি।

Advertisement

কলকাতায় জুট কমিশনারের অফিসেরও ধারণা, ওই দুর্নীতির সঙ্গে এ রাজ্যের কিছু চটকলের নাম জড়াতে পারে। এবং এই ধারণা থেকেই ছত্তীসগঢ় সরকারের কাছে চটের বস্তা কেনার সবিস্তার রিপোর্ট চেয়েছেন জুট কমিশনার। বিভিন্ন রাজ্যে রবিশস্য বস্তাবন্দি করার জন্য চটের ব্যাগের ব্যবহার শুরু হয়েছে অগস্ট থেকে। সেই ব্যাগের মান খতিয়ে দেখতে দু’টি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ছত্তীসগঢ়ের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে কংগ্রেস।

‘‘সারা দেশে বিভিন্ন কাজে যত চটের বস্তা ব্যবহৃত হয়, তার ৮০% যায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে। নিম্ন মানের বলে অভিযোগ তুলে বিভিন্ন রাজ্য চটের বস্তা বাতিল করতে শুরু করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলার পাটশিল্প। সেই জন্য মানের দিকে আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি,’’ বলেন জুট কমিশনারের দফতরের এক অফিসার।

Advertisement

কেন্দ্রীয় পাট আইনে বলা হয়েছে, খাদ্যশস্যের বস্তার ৯০% এবং চিনির বস্তার ২০% ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে চটের বস্তা। সেই অনুযায়ী গত অর্থবর্ষে ৮.৩ লক্ষ টন চটের বস্তা কিনেছে কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, চটকল-মালিকেরা নতুন উৎপাদন করার বদলে ব্যবহৃত চটের বস্তা কম দামে কিনে নতুন মোড়কে সেগুলোই সরবরাহ করছেন। তাঁদের এই কাজে সাহায্য করছেন মন্ত্রকের কিছু অফিসার। এতে বস্তার মান নেমে তো যাচ্ছেই। বস্তা খারাপ বলেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নানান শস্য।

জুট কমিশনারের অফিসের কর্তারা জানাচ্ছেন, ছত্তীসগঢ়ের ক্ষেত্রে ঠিক এমনই অভিযোগ উঠেছে। সেখানেও হাতফেরতা বস্তা কম দামে কেনা হয়েছে। সেই জন্যই ছত্তীসগঢ় সরকারের কাছে চটের বস্তা কেনার সবিস্তার তথ্য-খতিয়ান জানতে চাওয়া হয়েছে। বস্ত্র মন্ত্রকের কর্তারা মনে করছেন, এই ভাবে মান পড়তে থাকায় বিভিন্ন রাজ্য চটের বস্তা ব্যবহার বন্ধের যে-দাবি তুলছে, এর পরে তা মানতে বাধ্য হবে কেন্দ্র। বস্তার মান খতিয়ে দেখার ভার দেওয়া হয়েছে দু’টি বেসরকারি সংস্থাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement