National news

পণের দাবিতে অত্যাচার, জাতীয় কবাডি চ্যাম্পিয়নের স্ত্রী আত্মঘাতী

প্রথম বিয়েটা পণের কারণে ভেঙে গিয়েছিল। দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছিলেন জাতীয় এক কবাডি খেলোয়াড়কে। কিন্তু, এ বারও সেই একই অভিজ্ঞতা। শেষে জীবনটাই দিতে হল বছর সাতাশের ললিতা চিল্লারকে। দিল্লির বাড়ি থেকে সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ১৯:৪৬
Share:

মৃত ললিতা চিল্লার।

প্রথম বিয়েটা পণের কারণে ভেঙে গিয়েছিল। দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছিলেন জাতীয় এক কবাডি খেলোয়াড়কে। কিন্তু, এ বারও সেই একই অভিজ্ঞতা। শেষে জীবনটাই দিতে হল বছর সাতাশের ললিতা চিল্লারকে। দিল্লির বাড়ি থেকে সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

এ বছরের মার্চ মাসে রোহিত চিল্লারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ললিতার। জাতীয় কবাডি চ্যাম্পিয়ন রোহিত যদিও ঘটনার সময় মুম্বইতে ছিলেন। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে। ললিতার ঘর থেকে সুইসাইড নোটের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের একটি ভিডিও রেকর্ডিং উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে স্পষ্ট ভাবেই তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন তিনি। নিয়মিত পণের জন্য চাপ দেওয়ার পাশাপাশি ওই ভিডিওয় মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচারের কথাও বার বার বলেছেন ললিতা।

জাতীয় চ্যাম্পিয়ন রোহিত প্রো-কবাডি লিগে ‘বেঙ্গালুরু বুল্‌স’-এর হয়ে খেলেছেন। ২০০৯-এ খেলার সূত্রেই তিনি ভারতীয় নৌবাহিনীতে যোগ দেন। প্রথম থেকেই তাঁর কর্মস্থল মুম্বই। এ বছরের মার্চে বিয়ে হলেও ললিতার সঙ্গে তাঁর পরিচয় বেশ পুরনো। ললিতার কলেজে সাঁতার অনুশীলন করতে যেতেন তিনি। সেই সময় থেকেই প্রেম। তত দিনে ললিতার প্রথম বিয়ে পণের কারণে ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু, রোহিতের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই তাঁর পরিবারের লোকজনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে থাকে ললিতা। পণের দাবিতে তাঁর উপর লাগাতার অত্যাচারের কথা ভিডিওতে বলেছেল তিনি।

Advertisement

শুধু রোহিতের পরিবার নয়, তাঁর বিরুদ্ধেও ললিতার অনেক অভিযোগ ছিল। গত সপ্তাহান্তে দিল্লির বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। তখন স্ত্রীকে তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। তাঁর জীবন থেকে ললিতা চলে গেলেই তিনি খুশি থাকবেন বলেও জানান। পণের দাবি না মানায়, স্বামীর এমন ব্যবহারের সম্মুখীন হতে হবে সেটা ভাবেননি ওই গৃহবধূ। ভিডিওয় তিনি জানিয়েছেন, এর পরেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। রোহিতের বাবা-মা ললিতার সঙ্গে থাকতেন না। স্বামী মুম্বইতে থাকলে তিনি একাই একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। সেখানেই গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং থেকে ঝুলে পড়েন ললিতা। ঘটনার পর থেকে রোহিতের বাবা-মা বেপাত্তা।

এমনিতে প্রথম বিয়েটা পণের দাবির কারণে ভেঙে যাওয়ার পর থেকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন ললিতা। ভেবেছিলেন পরের বিয়েটা সামলে দেবে তাঁর জীবন। কিন্তু, সেখানেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। দিল্লি পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ওই ভিডিও দেখার পর এটা নিশ্চিত, পর পর দুটো একই রকমের ধাক্কা মানসিক ভাবে নিতে পারেননি ওই গৃহবধূ। সে কারণেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: আগেও হয় ‘স্ট্রাইক’, মানল কেন্দ্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন