কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের রেল অবরোধ। মঙ্গলবার করিমগঞ্জে উত্তম মুহরীর তোলা ছবি।
১৫ বছর পর অসমের বিরোধী আসনে কংগ্রেস। এখন প্রতিবাদ করেই অধিকার হাসিল করতে হবে বলে গত কালই তাঁর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন উত্তর করিমগঞ্জের কংগ্রেসি বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ।
সেই কথা মাথায় রেখেই আজ করিমগঞ্জ স্টেশনে রেললাইনে ধর্নায় বসে গেলেন বিধায়ক। সমর্থকদের নিয়ে দিলেন স্লোগানও। কিন্তু কেন এই ধর্না। গত কালই শিলচর-করিমগঞ্জ লোকাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। বিশেষ করে করিমগঞ্জের যাত্রীদের সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হবে দীর্ঘ দিনের কষ্ট। প্যাসেঞ্জার ট্রেন নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে উৎসাহের অন্ত ছিল না। গত কাল ১০টা নাগাদ শিলচর থেকে করিমগঞ্জে এসে পৌঁছয় ট্রেন। সেই ট্রেনই শিলচরের উদ্দেশে যাত্রা করে ১১টায়।
সকালে শিলচর থেকে করিমগঞ্জে আসা যাত্রীদের থেকে করিমগঞ্জ থেকে শিলচরে যাওয়া যাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি। তা ছাড়া, গত কালের ১১টার আপ শিলচর প্রথম ট্রেনেও তেমন যাত্রী ছিল না। তাই প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তনের দাবিতে আজ ধর্নায় বসেন কমলাক্ষবাবু। কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে শিলচরমুখী প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সামনে বসে পড়েন তাঁরা। স্লোগান দিয়ে ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তনের দাবি জানান। বিধায়ক বলেন, ‘‘রেল বিভাগ প্যাসেঞ্জার ট্রেন দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা তেমন ভাবে যাত্রীদের কাজে আসছে না। কারণ যে সময়ে ট্রেন আসছে তা যাত্রীদের জন্য সহায়ক নয়। ফলে এমজি লাইন থাকা অবস্থায় শিলচর-করিমগঞ্জ লাইনে যে সময়সূচিতে ট্রেন চলাচল করত সেই সময়ে অর্থাত সকাল ৬টায় ট্রেন আসা-যাওয়া করলে যাত্রীদের প্রকৃত পক্ষে উপকার হবে।’’ বিধায়কের মতে, ‘‘সকালে অফিস-আদালতের কর্মীরা আসা-যাওয়া করেন। তাই তাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই ট্রেনের সময়সূচি হওয়া উচিত।’’ অন্যথায় প্যাসেঞ্জার ট্রেনে যাত্রী হচ্ছে না দেখিয়ে লোকসানের কথা উল্লেখ করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিতে পারে রেল কর্তৃপক্ষ। করিমগঞ্জের স্টেশন সুপারের হাতে একটি স্মারকপত্রও কংগ্রেসের পক্ষে তুলে দেওয়া হয়।