শ্বশুরবাড়িতে কেউ নেই, ফিরেও একা কনকদুর্গা

ঋতুযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও বন্ধু বিন্দু আম্মিনির সঙ্গে শবরীমালা মন্দিরে পুজো দেওয়া ইস্তক তিনি হুমকি পেয়েছেন অজস্র।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:১৮
Share:

কনক দুর্গা ও বিন্দু

শবরীমালা মন্দির থেকে ফিরে শাশুড়ির হাতে বেধড়ক মার খেয়ে হাসপাতাল ঘুরে ঠাঁই হয়েছিল সরকারি হোমে। গ্রামীণ আদালতের নির্দেশে গত কাল ফের শ্বশুরবাড়িতে ফিরেছেন কেরলের কনকদুর্গা। কিন্তু গিয়ে দেখেছেন, বাড়ি ফাঁকা। তিনি ফেরার ঠিক আগে মা আর দুই সন্তানকে নিয়ে সম্ভবত একটি ভাড়াবাড়িতে উঠে গিয়েছেন তাঁর স্বামী কৃষ্ণন উন্নি।

Advertisement

তাতে অবশ্য আশা হারাচ্ছেন না ৪৪ বছরের নারী। ঋতুযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও বন্ধু বিন্দু আম্মিনির সঙ্গে শবরীমালা মন্দিরে পুজো দেওয়া ইস্তক তিনি হুমকি পেয়েছেন অজস্র। রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভের মুখে বেশ কিছু দিন থাকতে হয়েছিল গোপন আশ্রয়ে। তার পরে বাড়ি ফিরতেই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাঁকে হাসপাতালে পাঠান শাশুড়ি সুমতি আম্মা। কনকের বিরুদ্ধে পাল্টা মারের অভিযোগ তুলে একই হাসপাতালে ভর্তি হন নিজেও। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের অঙ্গদিপুরমের সেই বাড়িতে যান কনক। দেখেন, বাড়ি তালাবন্ধ।

তত দিনে গ্রামীণ আদালতে শুরু হয়েছে গার্হস্থ্য হিংসার মামলা। আদালতের নির্দেশে গত কাল ফাঁকা বাড়িতে ফিরে কনক বলেন, ‘‘আমি জানি, বাচ্চাদের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি দেখা হবে।’’ কিন্তু সংসারের কী হবে? কোর্টের নির্দেশ ছিল, কনককে দূরে রাখার উদ্দেশ্যে বাড়ি বেচতে পারবেন না শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। অনেকের মতে, হয়তো বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়ে তাঁকে পরোক্ষ ভাবে ত্যাগ করেছেন।

Advertisement

সরকারি চাকুরে কনক বলেন, ‘‘ওরা বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে কারণ আমার সঙ্গে থাকতে প্রস্তুত নয়। আমি তো ওদের সঙ্গেই থাকতে চাই। আমি নিশ্চিত, অদূর ভবিষ্যতেই সব গোলমাল মিটে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন