কেক কাটতে জোট যুযুধান দুই নেতার

একে অন্যের কট্টর বিরোধী। কার্যত তাঁদের মুখ দেখাদেখিই বন্ধ। কিন্তু আজ সেই দুরত্ব মুছে একে অপরের হাত ধরে কেক কাটলেন দু’জনে। স্নোগান তুললেন— ‘রাহুল গাঁধী জিন্দাবাদ’! তাঁদের এক জন করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস সভাপতি সতু রায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৫ ০২:৫২
Share:

পাশাপাশি। সতু রায়ের সঙ্গে কেতকীপ্রসাদ দত্ত।— নিজস্ব চিত্র।

একে অন্যের কট্টর বিরোধী। কার্যত তাঁদের মুখ দেখাদেখিই বন্ধ। কিন্তু আজ সেই দুরত্ব মুছে একে অপরের হাত ধরে কেক কাটলেন দু’জনে। স্নোগান তুললেন— ‘রাহুল গাঁধী জিন্দাবাদ’!

Advertisement

তাঁদের এক জন করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস সভাপতি সতু রায়। অন্য জন দলের জেলা সভাপতি পদের দাবিদার কেতকীপ্রসাদ দত্ত। করিমগঞ্জে জেলা কংগ্রেস সভাপতির পদ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই টানাপড়েন চলছে কংগ্রেস অন্দরমহলে। জেলার পাঁচ বিধায়কের মধ্যে তিন জন বর্তমান সভাপতির পক্ষে মন দিয়েছেন। দু’জন তাঁর বিপক্ষে। বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ, কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, কৃপানাথ মালাহ ২০১৬ সাল পর্যন্ত সতু রায়কে সভাপতির চেয়ারে রাখতে চাইছেন। এই মর্মে তাঁরা চিঠি দিয়েছেন সম্প্রতি বরাক সফরে আসা অসম কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক সি পি জোশীকেও। কিন্তু বিধায়ক মণিলাল গোয়ালা ও জামালউদ্দিন আহমেদ সতুবাবুর বিরুদ্ধে। এআইসিসি নেতা সি পি জোশীর করিমগঞ্জ সফরের সময় মণিলাল, জামালউদ্দিন তাঁর কাছে নিজেদের মতপ্রকাশের সুযোগ পাননি। এতেই দু’জনই ক্ষুব্ধ।

এই পরিস্থিতিতে জেলা কংগ্রেসের দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। ইন্দিরা ভবনে দু’জনের দেখা হলেও খুব কাজ না থাকলে তাঁরা কথা বলেন না। কিন্তু আজ সেই ছবিটা বদলে গেল। কেক কেটে একে অন্যকে খাওয়ালেনও তাঁরা। কারণ আজ দলের ‘যুবরাজ’ রাহুল গাঁধীর ৪৫-তম জন্মদিন। জেলা কংগ্রেসের তরফ থেকে পঙ্কজ নাগ, রাজেশখর দত্ত চাঁদা সংগ্রহ করে কেক, বুন্দিয়ার লাড়ু, নিমকি নিয়ে আসেন। ইন্দিরা ভবনে কেক কাটার পর পথচারীদেরও তা দেওয়া হয়। রাহুলের জন্মদিন পালনের মাধ্যমে জেলা কংগ্রেসের প্রতিপক্ষ দুই নেতা হাতে হাত ধরলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement