তিন বছরের পুরনো এক মারধরের মামলায় সাক্ষ্য দিতে করিমগঞ্জ আদালতে কংগ্রেস বিধায়ক রুমি নাথকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিলেন বিচারক। এই মুহূর্তে গুয়াহাটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি বিধায়ককে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আগামী ২০ মে হাজির হওয়ার এই নির্দেশ দিয়েছে করিমগঞ্জ এসিজেএম আদালত। বড়খলার বিধায়ক রুমি নাথ বদরপুরের ভাঙ্গা এলাকার জ্যাকি জাকিরকে নিয়ে পালিয়ে যান। সেই সময় তিনি করিমগঞ্জ শহরে কয়েকদিন থেকে ত্রিপুরার কৈলাশহরে গিয়ে বিয়ে করেন। অভিযোগ, বিধায়কের প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ না করেই তিনি জাকিরের সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহে আবদ্ধ হন। এ ছাড়া বিধায়ক ধর্মান্তরণ করেছেন বলেও নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানান। ২০১২ সালের ২৯ জুন বিধায়ক তার বিতর্কিত স্বামীকে নিয়ে শহরেরই নক্ষত্র হোটেলে হাজির হন। বিধায়কের আসাকে ঘিরে শহর জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সেই রাতেই একদল উত্তেজিত জনতা হোটেলে তাঁদের উপরে হামলা চালান। বিধায়ক-সহ জ্যাকি জাকিরকে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করা হয়। বিধায়ক পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। করিমগঞ্জ পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। সেই মামলাতে বিধায়ককে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালত বার বার সমন পাঠালেও তিনি উপস্থিত হননি। এর প্রেক্ষিতেই আজ করিমগঞ্জের এসিজেএম শাহ সৈয়দ আহাদুর রহমান বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকা রুমি নাথকে ২০ মে করিমগঞ্জের আদালতে হাজির করাতে নির্দেশ দিয়েছেন।