বিজেপিকে চার গোল দিল জোট

বড় ভোটের আগে ফের জোটের জয়। নরেন্দ্র মোদী কটাক্ষ করেন, বিরোধী জোটে না আছেন নেতা, না আছে নীতি। আর আজ কর্নাটক উপনির্বাচনে বিজেপিকে চার-একে মাত করে হাসছেন রাহুল গাঁধী। মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী বলছেন, ‘‘এ বার রাহুলের নেতৃত্বে কেন্দ্রে সরকার গড়ার পালা।’’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:২০
Share:

বড় ভোটের আগে ফের জোটের জয়। নরেন্দ্র মোদী কটাক্ষ করেন, বিরোধী জোটে না আছেন নেতা, না আছে নীতি। আর আজ কর্নাটক উপনির্বাচনে বিজেপিকে চার-একে মাত করে হাসছেন রাহুল গাঁধী। মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী বলছেন, ‘‘এ বার রাহুলের নেতৃত্বে কেন্দ্রে সরকার গড়ার পালা।’’

Advertisement

এর আগে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর, ফুলপুর, কৈরানাতে বিরোধীরা জোট বেঁধে বিজেপিকে কুপোকাত করেছিল। আজ দক্ষিণের রাজ্যেও তিনটি লোকসভা ও দু’টি বিধানসভার মধ্যে মাত্র একটি আসন ধরে রাখতে পারল বিজেপি। চোদ্দো বছর পর বিজেপির গড় বল্লারিতে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জিতল কংগ্রেস। বিতর্কিত খনি মাফিয়া রেড্ডি ভাইদের ঘনিষ্ঠ শ্রীরামালুর বোনকে হারিয়ে। মাণ্ড্য লোকসভা কেন্দ্রে তিন লক্ষের বেশি ভোটে জিতেছে জেডিএস।

অন্য দিকে রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে নিজের স্ত্রীকে জিতিয়ে এনেছেন কুমারস্বামী। সেখানে বিজেপি প্রার্থী ভোটের দু’দিন আগে কংগ্রেসে যোগ দেন। লিঙ্গায়েত-প্রধান জামকণ্ডি বিধানসভা কেন্দ্রেও কংগ্রেস জিতেছে।

Advertisement

বিজেপির একমাত্র প্রাপ্তি শিমোগা লোকসভা কেন্দ্র। সেখানে জিতেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার ছেলে। কিন্তু সামান্য ব্যবধানে। এ দিনের ফল দেখে দিল্লিতে কংগ্রেসের এক নেতার দাবি, ‘‘বিরোধী জোট যদি নিচুতলা পর্যন্ত ঠিকমতো হয়, পরের ভোটে টিকতে পারবেন না মোদী।’’ বস্তুত এই কথাটাই বারবার বলছেন রাহুল গাঁধী। জোর দিচ্ছেন যেখানে যার জোর বেশি, সেখানে তাকে গুরুত্ব দিয়ে জোটের ঘুঁটি সাজানোর উপরে। এ দিন তিনি টুইট করেন, ‘‘সব কর্মী ও নেতাকে অভিনন্দন। আপনাদের কঠোর পরিশ্রমই জয় এনে দিয়েছে।’’

আরও পড়ুন: মোদীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ডাক উর্জিতকে

কাল দেওয়ালির আগেই আজ বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি, উৎসবের মেজাজ কংগ্রেসে। সনিয়া গাঁধীকে মিষ্টি খাওয়াতে চলে যান দলীয় নেতারা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী জনতার প্রশ্নের জবাব দেন না। মানুষ ভোটে উত্তর দিচ্ছেন।’’

পাশাপাশি আশঙ্কায় বিজেপি-সঙ্ঘ পরিবার। রামের হাওয়া দক্ষিণে না পৌঁছক, সমর্থকেরাও তো ভোট দিচ্ছেন না! বিজেপি নেতাদের মতে, ভোটের হার দলের প্রতি জনগণের ক্ষোভ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। ইয়েদুরাপ্পাও আজ বলছেন, ‘‘বল্লারি-জামকণ্ডিতে হার বিজেপির কাছে বিপদ ঘণ্টা।’’ একান্তে অবশ্য বিজেপি নেতাদের দাবি, ‘‘ঠিকমতো দেখলে শুধু বল্লারিই খুইয়েছি আমরা। কিন্তু কর্নাটকে দলে সঙ্কট ছিল। ভোটের আগে যা ভাল লক্ষণ নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন