National News

দলিত মুখ্যমন্ত্রী, আপত্তি নেই সিদ্দারামাইয়ার

লোকসভা নির্বাচনের আগে দলিত সমাজকে বার্তা দিতে কংগ্রেস যদি কোনও দলিত নেতাকে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী করতে চায়, তা হলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই বলে জানালেন সিদ্দারামাইয়া। এ দিকে ভোট পরবর্তী অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাই জানিয়েছে, কর্নাটকে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৮ ০৪:১৩
Share:

সিদ্দারামাইয়া

লোকসভা নির্বাচনের আগে দলিত সমাজকে বার্তা দিতে কংগ্রেস যদি কোনও দলিত নেতাকে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী করতে চায়, তা হলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই বলে জানালেন সিদ্দারামাইয়া। এ দিকে ভোট পরবর্তী অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাই জানিয়েছে, কর্নাটকে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস মনে করছে, দলিত কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে দেবগৌড়ার সমর্থন পাওয়া যাবে। ফলে জেডিএসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়ার প্রশ্নে সুবিধেজনক অবস্থানে থাকবে কংগ্রেস। আটকানো যাবে বিজেপিকে।

Advertisement

কর্নাটকের রাজনীতিতে কংগ্রেসের উল্লেখযোগ্য দলিত নেতা মল্লিকার্জ্জুন খড়্গে ও জি পরমেশ্বর। ধারে এবং ভারে প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে বহু এগিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা খড়্গে। কিন্তু সমস্যা হল রাজ্য রাজনীতিতে সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে তিক্ত সম্পর্ক খড়্গের। মুখ্যমন্ত্রী শিবিরের অভিযোগ, হাইকম্যান্ডের সঙ্গে কলকাঠি নেড়ে প্রথমে সিদ্দারামাইয়ার বাদামি কেন্দ্রের টিকিট কেড়ে নিয়েছিলেন খড়্গে। ফলে খড়্গের নামে সিদ্দারামাইয়ার যে আপত্তি থাকবে, তা ঘনিষ্ঠ মহলে ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। পরিবর্তে নিজের অনুগত কোনও দলিত বিধায়ককে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছেড়ে দিতে রাজি সিদ্দারামাইয়া।

দলিত মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্নে সম্মতি জানালেও আজ একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিয়েছেন সিদ্দারামাইয়া। তাঁর বক্তব্য, এ ধরনের স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সবার সঙ্গে আলোচনা করে সর্বসম্মতির ভিত্তিতেই এগোনো উচিত। তা না হলে সরকার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সিদ্দারামাইয়ার কথায়, ‘‘আমি কারও বিরুদ্ধে নই। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা-ই হবে। তবে বিধায়কদের মতামত নেওয়াটাও জরুরি। উপর থেকে কাউকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। আমার পাঁচ বছরের শাসনে সব বিধায়ক আমার পাশে ছিলেন। কিন্তু জোর করে কাউকে নেতা বানালে সরকার পড়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’’ দল মনে করছে, উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়ার কথা বলে আসলে শুরুতেই খড়্গে প্রশ্নে বিরোধিতা সেরে রাখলেন সিদ্দারামাইয়া।

Advertisement

আত্মবিশ্বাসী: সাংবাদিকদের মুখোমুখি কর্নাটকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। রবিবার বেঙ্গালুরুতে। ছবি: পিটিআই।

বুথ পরবর্তী সমীক্ষার ছবি সত্যি হলে কর্নাটকে সরকার গড়ার প্রশ্নে মূল কুশীলব হতে চলেছেন দেবগৌড়া। তাই বিজেপি-কংগ্রেস দু’দলই যোগাযোগ রেখে চলেছে জেডিএস নেতৃত্বের সঙ্গে। শুরু থেকেই জেডিএস ও বিজেপির আঁতাত নিয়ে জল্পনা থাকলেও আজ দলের মুখপাত্র দানিশ আলি অন্য ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, সরকার গড়ার প্রশ্নে কংগ্রেস এগিয়ে এসে প্রস্তাব দিলে ভাবনাচিন্তা করে দেখা হবে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন, সরকার গড়ার মতো পরিস্থিতিতে কংগ্রেস যদি কোনও দলিত মুখকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরে, সে ক্ষেত্রে দেবগৌড়ার সমর্থন পাওয়া যেতে পারে। তা হলে রাজ্যে সরকার ধরে রাখতে পারবে কংগ্রেস। বাড়া ভাতে ছাই পড়বে বিজেপির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন