—প্রতীকী চিত্র।
বোনপোকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত মাসি। ৬ বছরের শিশুকে খুন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেলেন ৩৭ বছরের মহিলা। কর্নাটকের চিক্কাবল্লাপুর জেলার ঘটনা।
অভিযুক্তের নাম অম্বিকা। বিবাহবিচ্ছিন্না ওই যুবতী থাকতেন দিদি-জামাইবাবুর কাছে। দিদির দুই সন্তান— মনুশ্রী এবং মধু। তাদের বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর ওই অপরাধ করেন অম্বিকা। অভিযোগ, একটি আমবাগানে নিয়ে গিয়ে ৬ বছরের মধুকে মেরে পুঁতে দেন মাসি। বোনঝির বয়স তখন ৮ বছর। তাকে বেঙ্গালুরুর একটি অনাথ আশ্রমে দিয়ে আসার পরিকল্পনা করেন অম্বিকা।
তবে অটোভাড়া করে বোনঝিকে নিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়েন ওই মহিলা। বোনঝিকে তিনি বোঝাতে বোঝাতে যাচ্ছিলেন যে, আশ্রমে কত কিছু ভাল ইত্যাদি। তাঁর কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হয় অটোচালকের। তিনি অটো নিয়ে সোজা থানায় চলে যান। ধরা পড়েন অম্বিকা। তার পর উদ্ধার হয় ৬ বছরের মধুর দেহ। দিদি-জামাইবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলায় গ্রেফতার হন ওই মহিলা।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, দিদির উপর প্রতিশোধ নিতে তাঁর দুই সন্তানের ক্ষতির চেষ্টা করেছিলেন অম্বিকা। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দিদি-জামাইবাবুর বাড়িতে আশ্রয় পান ওই মহিলা। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই বেশ কিছু পারিবারিক এবং বৈষয়িক জিনিস নিয়ে দুই বোনের অশান্তি হয়। দিদিকে ‘সবক’ শেখানোর জন্য এই পরিকল্পনা করেন।
৬ বছরের শিশু হত্যার মামলায় ২ বছর পরে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। শুক্রবার আদালত মহিলাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারক।