মহিলাদের ঋতুকালীন ছুটিতে সম্মতি দিল কর্নাটক মন্ত্রিসভা। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মহিলা কর্মীরা ঋতুকালীন ছুটি পাবেন। মাসে এক দিন করে ওই ছুটি তাঁরা নিতে পারবেন। এ বার কর্নাটক সরকারও এই নিয়ম চালু করতে চলেছে। বৃহস্পতিবার সে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় মহিলাদের ঋতুকালীন ছুটির প্রস্তাবটি পাশ হয়েছে। এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে কর্নাটকের সকল সরকারি, বেসরকারি দফতর, বহুজাতিক সংস্থা, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার দফতরে। মাসে এক দিনের এই ছুটি হবে সবেতন।
কর্নাটক সরকার জানিয়েছে, রাজ্যের কর্মরত মহিলাদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহিলাদের চাকরিতে আরও উৎসাহ দেওয়া, তাঁদের জন্য কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা সরকারের লক্ষ্য। কাজের সময়ে তাঁদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য যাতে প্রভাবিত না-হয়, তা অনেকাংশে নিশ্চিত করা যাবে সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে। কর্নাটক সরকারের বক্তব্য, মাসে এক দিন করে ঋতুকালীন ছুটি কর্মস্থলে মহিলাদের ঋতুস্রাব নিয়ে সচেতনতাও বৃদ্ধি করবে।
কর্নাটক অবশ্য প্রথম নয়। ঋতুস্রাবের সময়ে মহিলাদের যে ছুটি প্রয়োজন, তা ভারতের একাধিক রাজ্যে স্বীকৃত। ২০২৪ সালে ও়়ড়িশা সরকার মহিলা কর্মীদের মাসে এক দিন করে ঋতুকালীন ছুটিতে সম্মতি দিয়েছিল। ১৯৯২ সাল থেকে বিহারে এই নিয়ম চালু রয়েছে। সে রাজ্যে আবার এক দিন নয়, মহিলারা এক মাসে সবেতন দু’টি করে ঋতুকালীন ছুটি নিতে পারেন। এ ছাড়া, কেরলের সরকারি স্কুলগুলিতে ছাত্রীদের মধ্যে ঋতুকালীন ছুটির নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। সুতরাং বলা যায়, দেশের তৃতীয় রাজ্য (বিহার ও ওড়িশার পরেই) হিসাবে কর্নাটক মহিলা কর্মীদের ঋতুকালীন ছুটিতে সম্মতি দিল।
কর্নাটকের মন্ত্রিসভায় বৃহস্পতিবার যে প্রস্তাবটি পাশ হল, তাতে বলা হয়েছে, মহিলা কর্মীরা মাসে একটি হিসাবে বছরে মোট ১২টি সবেতন ঋতুকালীন ছুটি পাবেন। রাজ্যের আইনমন্ত্রী এইচকে পাটিল বলেন, ‘‘মহিলাদের জন্য এটা অত্যন্ত সুখবর। এতে ওঁদের অনেক সুবিধা হবে। অন্যান্য রাজ্যে এই নীতি ইতিমধ্যে সফল হয়েছে। আমরাও তা অনুসরণের সিদ্ধান্ত নিলাম।’’