Bank Robbery Case

পুলিশকে বিভ্রান্ত করার ছল, ব্যাঙ্ক ডাকাতির পরে ‘কালোজাদু’ বলে ভুল বোঝানোর চেষ্টা তদন্তকারীদের!

ব্যাঙ্কের একটিই মাত্র লকার ভাঙে ডাকাতদল। আশপাশের অন্য কোনও লকারে হাতও দেয়নি তারা। তদন্তকারীদের অনুমান, ব্যাঙ্কের ভিতরে কী সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, তা আগে থেকেই জানত তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫ ১৬:১৩
Share:

কর্নাটকের ওই ব্যাঙ্কের একটি জানলার কাছে কালো রঙের পুতুল ফেলে গিয়েছিল ডাকাতদল। ছবি: সংগৃহীত।

কর্নাটকের বিজয়পুরায় ব্যাঙ্ক ডাকাতির এক সপ্তাহ পরেও অধরা অভিযুক্তেরা। পুলিশের অনুমান, ৬-৮ জনের একটি দল এই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। ব্যাঙ্ক লুটের পরে পুলিশকে বিভ্রান্ত করারও চেষ্টা করেছে ওই ডাকাতদল। যে পেশাদারি কায়দায় ডাকাতি হয়েছে, তাতে পুলিশের সন্দেহ, ব্যাঙ্কের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিল ডাকাতেরা।

Advertisement

পুলিশের অনুমান, গত ২৫ মে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতি হয়েছিল। দিনটি ছিল রবিবার। তার আগে চতুর্থ শনিবার ব্যাঙ্কের কাজ শেষে তালাবন্ধ করে চলে যান ব্যাঙ্কের ওই শাখার ম্যানেজার। সোমবার সকালে ব্যাঙ্কের অস্থায়ী সাফাইকর্মী দেখেন, একটি লকার খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তিনিই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে খবর দেন এবং তার পরে পুলিশের কাছে খবর যায়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরে পুলিশ জানতে পারে, ব্যাঙ্কের একটি লকার থেকে ৫৯ কেজি সোনার গয়না এবং নগদ ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা লুট হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ওই একটি লকারই ভেঙেছিল ডাকাতদল। আশপাশের লকারগুলিতে তারা হাত দেয়নি। যা থেকে পুলিশের অনুমান, ব্যাঙ্কের ভিতর কোথায় কী রয়েছে, সে বিষয়ে ধারণা ছিল অভিযুক্তদের। ওই নির্দিষ্ট লকারটি খোলার জন্য নকল চাবি ছিল ডাকাতদের কাছে। তারা দু’দিন আগে থেকেই ব্যাঙ্কের ওই শাখার উপর নজর রাখছিল বলে সন্দেহ পুলিশের।

Advertisement

ডাকাতির পরে পালানোর সময়ে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করা হয়েছিল। দাবি করা হচ্ছে, ব্যাঙ্কের বাইরের দিকে একটি ভাঙা জানলার কাছে কালো রঙের পুতুল ফেলে রাখা হয়েছিল। তদন্তকারীদের সন্দেহ, ডাকাতদল ইচ্ছাকৃত ভাবেই সেটি ফেলে গিয়েছে, যাতে প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটি কোনও ‘কালোজাদু’ বলে মনে হয়। তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার উদ্দেশ্যেই ওই পুতুলটি ফেলে রাখা হয়েছিল বলে সন্দেহ পুলিশের।

বিজয়পুরার পুলিশ সুপার লক্ষ্মণ নিমবর্গী জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আটটি পৃথক দল গঠন করে ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তেরা দ্রুত ধরা পড়বেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন পুলিশ সুপার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement