Arvind Kejriwal

শাহের সঙ্গে ‘কাজের কথা’ কেজরীবালের

দু’পক্ষই দিল্লির উন্নয়নে এক জোট হয়ে কাজ করায় সম্মতি জানিয়েছি।’’ সূত্রের খবর, মোদীর সঙ্গেও দেখা করার সময় চেয়ে রেখেছেন কেজরীবাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৫১
Share:

অমিত শাহ ও অরবিন্দ কেজরীবাল।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়টা শপথের দিনেই সেরে নিয়েছিলেন। দিল্লির উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছিলেন তিনি। বাকি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ দুপুরে অমিত শাহের বাড়িতে গিয়ে সেটাও সেরে নিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তৃতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই কেন্দ্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলার প্রশ্নে যে তিনি ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান, তা আজ ফের এক বার স্পষ্ট করে দিলেন আম আদমির নেতা।

Advertisement

কেন্দ্রের সঙ্গে বিবাদে গত পাঁচ বছরে বিস্তর সমস্যায় পড়তে হয়েছিল কেজরীবালকে। এ বার তাই শুরু থেকেই সহযোগিতার রাস্তায় এগোনোর সিদ্ধান্ত নেয় দল। সূত্রের মতে, সেই বার্তা দিতে আজ অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন কেজরীবাল। দলীয় সূত্রের মতে, দিল্লিতে লোকপাল নিয়োগের মতো একাধিক বিষয় কেন্দ্রের ছাড়পত্র পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। সেগুলি যাতে দ্রুত দিনের আলো দেখে সে জন্য আজ দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে অমিত শাহের কাছে তদ্বির করা হয়। কেজরীবাল পরে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে কাজের কথা হয়েছে। দু’পক্ষই দিল্লির উন্নয়নে এক জোট হয়ে কাজ করায় সম্মতি জানিয়েছি।’’ সূত্রের খবর, মোদীর সঙ্গেও দেখা করার সময় চেয়ে রেখেছেন কেজরীবাল।

এ দিকে আজ সকালে পাটিয়ালা কোর্টে জেএনইউ-প্রাক্তনী কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে ওঠা দেশদ্রোহের মামলাটির শুনানি হয়। ২০১৬ সালে সংসদ হামলাকারী আফজল গুরুর সমর্থনে জেএনইউ চত্বরে একটি অনুষ্ঠান হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই সময়ে ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট কানহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনে দিল্লি পুলিশ। গত বছরের জানুয়ারি মাসে পাটিয়ালা আদালতে চার্জশিটও দেয় দিল্লি পুলিশ। কিন্তু দিল্লি সরকার এখনও ওই মামলায় কানহাইয়া কুমার-সহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেয়নি। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অনুমতি ছাড়া এটা করা যায়ও নয়। আজ ওই মামলার শুনানিতে পাটিয়ালা কোর্ট দিল্লি পুলিশকে ফের দিল্লি সরকারের কাছে দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার আর্জি জানানোর নির্দেশ দেয়। আগামী ৩ এপ্রিল ফের মামলাটির শুনানি। দিল্লি সরকারের ওই প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতার কারণ হিসাবে কেজরীবালের সাফাই, ‘‘আইন দফতরের কাজে আমি হস্তক্ষেপ করি না। ওই দফতরের সিদ্ধান্ত বদলাতেও পারি না। তবে তারা যাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়, সে চেষ্টা করব।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন