ছাদে ‘ধন্যবাদ’ ত্রাতাদের

বাড়ির ছাদে বড় বড় অক্ষরে সাদা রঙে লেখা ‘থ্যাঙ্কস’। হেলিকপ্টার থেকে চোখে পড়তেই তৃপ্তির হাসি ফুটল নৌসেনার অফিসারদের মুখে। তিন দিন আগে কোচির আলুভা গ্রামের ওই বাড়ির উপরে হেলিকপ্টার উড়িয়ে এনেছিলেন নৌসেনা কমোডোর বিজয় বর্মা। খবর ছিল, ওই বাড়িতে সন্তানসম্ভবা সাজিতা জাবিল আটকে পড়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৪৯
Share:

ধন্যবাদ: কোচির এই বাড়ির ছাদ থেকেই এক সন্তানসম্ভবাকে উদ্ধার করেছিল নৌসেনা। সৌজন্য দেখালেন স্থানীয়েরা। ছবি: পিটিআই।

বাড়ির ছাদে বড় বড় অক্ষরে সাদা রঙে লেখা ‘থ্যাঙ্কস’। হেলিকপ্টার থেকে চোখে পড়তেই তৃপ্তির হাসি ফুটল নৌসেনার অফিসারদের মুখে। তিন দিন আগে কোচির আলুভা গ্রামের ওই বাড়ির উপরে হেলিকপ্টার উড়িয়ে এনেছিলেন নৌসেনা কমোডোর বিজয় বর্মা। খবর ছিল, ওই বাড়িতে সন্তানসম্ভবা সাজিতা জাবিল আটকে পড়েছেন। প্রসবের সময় এগিয়ে এসেছে। প্রথমে কপ্টারে এক ডাক্তারকে নিয়ে গিয়ে দড়িতে বেঁধে নামানো হয়। তিনি ২৫ বছরের সাজিতাকে পরীক্ষা করে জানান, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রয়েছে। সাজিতাকে দ্রুত কপ্টারে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

উদ্ধারের ৩০ মিনিটের মধ্যেই পুত্রসন্তানের জন্ম দেন সাজিতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় মা ও ছেলের ছবি দিতেই অভিনন্দনের বন্যা। কমোডোর বিজয় বলছেন, ‘‘কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। জরুরি বার্তা পেয়ে প্রথমে ওঁদের খুঁজে বার করতে হয়েছিল। পেশাগত ও ব্যক্তিগত, দু’দিক থেকেই প্রচণ্ড তৃপ্ত লাগছে।’’ সেই সাজিতাদের বাড়ির ছাদেই এ বার দেখা গেল ওই ‘ধন্যবাদ’ বার্তা। খুশি নৌসেনা। কর্তারা ‘সাবাশ’ বলছেন কমোডোর বিজয়কে। ‘অপারেশন মদত’-এর সাফল্যে রোজই যোগ হচ্ছে নতুন নতুন গল্প। আজও আলুভারই একটি বাড়ি থেকে আর এক সন্তানসম্ভবাকে উদ্ধার করেছে নৌসেনা। হুইলচেয়ারে বন্দি ওই মহিলার শরীরে কোমরের নীচ থেকে সাড় নেই। ক্যাপ্টেন পি রাজকুমার নিজে দড়িতে বেঁধে নেমে গিয়ে তাঁকে কপ্টারে তুলে আনেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন