সন্ন্যাসিনী ধর্ষণ কাণ্ডে অবশেষে অভিযুক্ত বিশপ ফাদার ফ্রাঙ্কো মুলাক্কলকে তলব করল কেরল পুলিশ। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এর্নাকুলাম রেঞ্জ ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি) বিজয় শেখারে জানিয়েছেন, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিশপকে হাজিরা দিতে হবে। এর আগে কেরল হাইকোর্টে জমা করা হলফনামায় কেরল পুলিশ জানিয়েছে, সন্ন্যাসিনীকে যে একাধিক বার ওই বিশপ ধর্ষণ করেছেন, সেই প্রমাণ তারা পেয়েছে।
কেরলের এক কনভেন্টের সন্ন্যাসিনীর অভিযোগ, ২০১৪-র ৫ মে থেকে ২০১৬-র ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাঁকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছিলেন ফাদার ফ্রাঙ্কো। তাঁকে ওই কনভেন্টে বন্দি করেও রাখা হয়। ওই সন্ন্যাসিনীর বক্তব্যের সমর্থনে মুখ খোলেন ওই কনভেন্টের আরও তিন সন্ন্যাসিনী। এই মামলার তদন্তে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। কেরল হাইকোর্ট জানতে চেয়েছিল, অভিযুক্ত বিশপকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কি না। কেরল পুলিশ তখন আদালতকে জানিয়েছিল, বন্যার জন্য তদন্তে কিছু সময় লাগছে। এর মধ্যেই অভিযোগকারিণীর ভাই জানান, মুখ বন্ধ রাখার জন্য এক বন্ধুর মাধ্যমে তাঁদের পাঁচ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন অভিযুক্ত বিশপ। আজ বিষয়টি নিয়ে নিজের বাড়িতে বৈঠকে বসেন আইজি শেখরে। ছিলেন কোট্টায়মের পুলিশ সুপার হরিশঙ্কর এবং ডেপুটি সুপার কে সুভাষ। বৈঠক শেষে বিশপকে তলব করার কথা জানান শেখরে। তাঁর দাবি, অভিযোগকারণী, অভিযুক্ত এবং সাক্ষীদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে। তাই তদন্তের জন্য প্রমাণ জোগাড় করাই তাঁদের উদ্দেশ্য।
অভিযুক্ত ফাদার ফ্রাঙ্কো জালন্ধরের একটি গির্জার সঙ্গে যুক্ত। আজ সেখানে বিক্ষোভ দেখান একটি নারী সংগঠনের সদস্যরা। এ দিকে, অভিযোগকারিণীর জন্য সুবিচার চেয়ে কেরল হাইকোর্টের সামনেও পাঁচ দিন ধরে ধর্না দিচ্ছেন এক দল সন্ন্যাসিনী। আজ ভারতে ভ্যাটিকানের প্রতিনিধির কাছে ওই বিশপের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছেন অভিযুক্ত সন্ন্যাসিনী। অভিযোগকারিণী সন্ন্যাসিনীকে কুকথা বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কেরলের নির্দল বিধায়ক পি সি জর্জ। আজ সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, ওই সন্ন্যাসিনীকে ‘যৌনকর্মী’ বলাটা তাঁর উচিত হয়নি।