আগে নিশানায় থাকত প্রেমের দিন। এ বার আন্তর্জাতিক নারী দিবসেও কোচির মেরিন ড্রাইভে যুগলদের হেনস্থার অভিযোগ উঠল শিবসেনার বিরুদ্ধে। পুলিশ থাকলেও প্রথম দিকে কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জন শিবসেনা কর্মীকে। শিবসেনার এই নীতি-পুলিশির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আজ মেরিন ড্রাইভেই ‘কিস অব লভ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গত কাল দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ শিবসেনার ২৫ জন সদস্য মেরিন ড্রাইভে উপস্থিত যুগলদের উপর চড়াও হয়েছিল। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলে দেখানো ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়ে সেই ছবি। পতাকা, ব্যানার নিয়ে তারা একটি মিছিল বার করেছিল। হাতে ছিল লাঠিও। সেই মিছিল ভেঙেই কয়েক জনকে দেখা যায় যুগলদের তাড়া করতে। এমনকী ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি মেয়েদের উদ্দেশে গালিগালাজও করছেন। এ দিকে সব কিছু দেখেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ। এর পরেও যে যুগলরা ওখানে থেকে গিয়েছিলেন, তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:উত্তরপ্রদেশে এগিয়ে বিজেপি, সাট্টা বাজারে জয়ের খবরেই শুরু উল্লাস
শিবসেনার এক প্রবীণ নেতার দাবি, দেহ-ব্যবসায় নামাতে অল্পবয়সি মেয়েদের মেরিন ড্রাইভ থেকেই তোলার ছক কষা হয়। তার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ মিছিল করে তারা। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হেনস্থা থেকে বাঁচানোর নামে মেয়েদের উপর ছড়ি ঘোরানোই উদ্দেশ্য ছিল শিবসেনার।
এই হেনস্থার প্রতিবাদে ফেসবুকে একটি গ্রুপ ‘কিস অব লভে’র ডাক দেয়। স্বেচ্ছাসেবীরা মেরিন ড্রাইভে এসে প্রতিবাদ স্বরূপ একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন, চুমু খান। এর আগে ২০১৪-তেও কোঝিকোড়ের একটি হোটেলে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ভাঙচুরের প্রতিবাদে কিস অব লভের মতো একটি কর্মসূচি করা হয়েছিল।
এই ঘটনাকে কেরলের ‘অপমান’ আখ্যা দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে এরনাকুলম সেন্ট্রালের এসআই-সহ ন’জন পুলিশকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। নীতি-পুলিশির বিরুদ্ধে পুলিশকে মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।