National News

কেমন হল ভারতীয় রেলের এই অত্যাধুনিক কোচ? দেখে নিন এক নজরে

পুজো হোক বা গরমের ছুটি, বাঙালির ঘরের কাছের পছন্দের হলিডে ডেস্টিনেশন নিসন্দেহে ভাইজ্যাক-আরাকুভ্যালি। বুড়ি ছুঁয়ে সহজেই ফিরে আসা যায়। হাতে অল্প সময় থাকলেও তাই কুছপরোয়া নেহি। বিশাখাপত্তনম ওরফে ভাইজ্যাক থেকে আরাকুভ্যালিও যাওয়া যায় সহজেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ১২:৫৫
Share:

ভিস্টাডমের অন্দরমহল। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।

পুজো হোক বা গরমের ছুটি, বাঙালির ঘরের কাছের পছন্দের হলিডে ডেস্টিনেশন নিসন্দেহে ভাইজ্যাক-আরাকুভ্যালি। বুড়ি ছুঁয়ে সহজেই ফিরে আসা যায়। হাতে অল্প সময় থাকলেও তাই কুছপরোয়া নেহি। বিশাখাপত্তনম ওরফে ভাইজ্যাক থেকে আরাকুভ্যালিও যাওয়া যায় সহজেই। সড়কপথ তো রয়েইছে, সঙ্গে রয়েছে অসাধারণ রেলপথও। ১১৪ কিলোমিটার পথে পড়বে অসংখ্য টানেল। সঙ্গে পাহাড়-সাগরের উজার করা সৌন্দর্য। এ বার থেকে সেই যাত্রাকেই আরও মনোরম করবে ভারতীয় রেলের এই নতুন ‘সদস্য’।

Advertisement

পোশাকী নাম ভিস্টাডম কোচ। নরম তুলতুলে সিটের উপর বসে উপরে তাকালে চোখে পড়বে নীল আকাশ, পাশে সবুজে ঢাকা পাহাড়। ভিস্টাডমের ঝাঁ চকচকে কলেবরে মনে হতেই পারে ভারতে নয়, বিদেশের কোনও রাজ্যে প্যাকেজ ট্যুরে বেরিয়েছেন।

আরও পড়ুন

Advertisement

হাতির শুঁড়ে কামড়ে ধরল কুমির, তার পর কী হল দেখুন ভিডিওতে

উদ্বোধন হল ভিস্টাডম কোচের। —নিজস্ব চিত্র।

বুধবার থেকেই ভাইজ্যাক থেকে আরাকুভ্যালি যাওয়ার কিরন্ডুল এক্সপ্রেস ট্রেনে লাগানো হচ্ছে ছাদে কাচ লাগানো এই নতুন কামরা। দেশের মধ্যে প্রথম। জেনে নিন নতুন এই কোচ সম্বন্ধে অজানা কিছু তথ্য—

১) ভিস্টাডম কোচটির আসন সংখ্যা ৪০টি।

২) কোচের ছাদ স্বচ্ছ কাচ দিয়ে তৈরি। ফলে আকাশ-পাহাড়-টানেলের মেলবন্ধনের অপূর্ব প্যানোরমিক ভিউ আপনার চোখে সামনে ধরা দেবে সানন্দে।

৩) যাত্রীরা যাতে মাথার উপরের প্যানারমিক ভিউ সেই কথা ভেবেই এই কোচের প্রতিটি সিট-এই রয়েছে পুশব্যাক এবং রোটেশন সিস্টেম।

৪) রয়েছে স্বয়ংক্রিয় স্লাইডিং দরজা। প্রতিটি আসনের সামনেই রয়েছে টেলিভিশন স্ক্রিন।

৫) এই স্ক্রিনে ইচ্ছা করলে জিপিএস সিস্টেমে যাত্রাপথ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্যও পাবেন যাত্রীরা।

৬) প্রতিটি আসনের সঙ্গেই লাগানো রয়েছে এলইডি লাইটও। যাত্রাপথের একঘেয়েমি কাটাতে প্রয়োজনে সেই আলোয় পড়াশোনাও করতে পারবেন ইচ্ছুক যাত্রীরা।

৭) অত্যাধুনিক এই ভিস্টাডম কোচটি তৈরি হয়েছে চেন্নাইয়ের কারখানায়। প্রাথমিক ভাবে মোট চারটি কামরা তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে দু’টি ব্যবহৃত হবে কিরন্ডুল এক্সপ্রেসে। বাকি দু’টি তৈরি হয়েছে কাশ্মীরের জন্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন