যন্ত্রপাতি মোটামুটি ঠিকই আছে। মঙ্গলবার রেডার পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তা ঠিকমতো কাজ করছে। আজ, বুধবার ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) এবং ভিজুয়াল অমনি রেঞ্জ (ভিওআর) নামে অন্য দু’টি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। বিমান নামতে সাহায্য করে ওই দু’টি যন্ত্র। কোচি বিমানবন্দরের কর্তাদের আশা, ওই দু’টি যন্ত্রও ঠিকঠাক কাজ করবে।
সব কিছু ঠিকঠাক চললে ২৬ অগস্ট, রবিবার কোচি বিমানবন্দরে আবার বিমান ওঠানামা শুরু করবে বলে কর্তাদের আশা। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর মতো কোচি বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্ব আছে বেসরকারি হাতে। কোচি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড বা সিয়াল-এর ডিজিএম দীনেশন জানান, বিমান ওঠানামা শুরু করার আগে কিছু কাজ বাকি। যেমন জলের তোড়ে কিছু জায়গায় বিমানবন্দরের পাঁচিল ভেঙে পড়েছে। তা না-সারালে বিমান চালু করা যাবে না। সেটা বিমানবন্দরের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। ভেসে এসেছে প্লাস্টিকের অজস্র বোতল। জল নেমে যাওয়ার পরে আবর্জনার স্তূপ জমেছে। পুরো বিমানবন্দর পরিষ্কার করা দরকার। নতুন টার্মিনাল টি-থ্রি-র কনভেয়ার বেল্টের মোটরগুলিও জলের তলায় ছিল। ওই সব মোটর সারাতে হতে পারে। এ সব কাজই দু’দিনেই করে ফেলা যেত। কিন্তু কাজ করার লোক খুব কম।
বিমানবন্দরের এক কর্তার কথায়, ‘‘এখনও রাস্তায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। বিমানবন্দরের বহু কর্মীর বাড়ি বা ফ্ল্যাট জলের তলায় চলে যাওয়ায় তাঁরা দূরে আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। দুম করে বললেই তাঁদের পক্ষে বিমানবন্দরে চলে আসা সম্ভব নয়। ফলে আপাতদৃষ্টিতে যে-কাজ দু’দিনে করে ফেলা সম্ভব বলে মনে হচ্ছে, তা করতে চার দিন তো লাগবেই।’’