Kunal Kamra Controversy

গ্রেফতার করতে পারে মুম্বই পুলিশ! আশঙ্কা করে আবার আদালতের দ্বারস্থ কৌতুকশিল্পী কুণাল

মুম্বইয়ের খার এলাকায় একটি কৌতুকানুষ্ঠানে শিন্দেকে কটাক্ষ করেছিলেন কুণাল কামরা। জনপ্রিয় হিন্দি গানের সুর নকল করে তাতে নিজের মতো কথা বসিয়ে গেয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকেই আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়ছেন কুণাল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৪১
Share:

কৌতুকশিল্পী কুণাল কামরা। —ফাইল চিত্র।

আবার আদালতের দ্বারস্থ কৌতুকশিল্পী কুণাল কামরা। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দেকে ‘গদ্দার’ বলায় তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ দায়ের হচ্ছে থানায়। সেই সব মামলায় কৌতুকশিল্পীকে তলব করে সমনও পাঠিয়েছে মুম্বই পুলিশ। কিন্তু পুলিশের জোড়া সমন এড়ান তিনি। মঙ্গলবার কুণাল আগাম জামিন চেয়ে মাদ্রাজ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।

Advertisement

মুম্বইয়ের খার এলাকায় একটি কৌতুকানুষ্ঠানে শিন্দেকে কটাক্ষ করেছিলেন কুণাল। জনপ্রিয় হিন্দি গানের সুর নকল করে তাতে নিজের মতো কথা বসিয়ে গেয়েছিলেন তিনি। তেমনই এক গানে শিন্দেকে ‘গদ্দার’ বলেছিলেন বলে অভিযোগ। তার পরই তাঁর বিরুদ্ধে খার থানাতেই একের পর এক অভিযোগ দায়ের হতে থাকে। গত ২৪ মার্চ শিবসেনা বিধায়ক মুরজি পটেলের অভিযোগের ভিত্তিতে কুণালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। সেই এফআইআরের পরই আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন কুণাল। আদালত তাঁর অন্তবর্তিকালিন জামিন মঞ্জুর করে।

সেই আবহে গত শনিবার আবার কুণালের বিরুদ্ধে খার থানায় তিনটি অভিযোগ দায়ের হয়। কুণালের আশঙ্কা, তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ। আইনি সুরক্ষা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, কুণাল সরাসরি কারও সমালোচনা করেননি। তাঁর মন্তব্যের নেপথ্যে কোনও গোপন উদ্দেশ্য ছিল না। অভিযোগ, পুলিশ তাঁর মক্কেল গ্রেফতার করার সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। শুনানির পর মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতি সুন্দর মোহন জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর রক্ষাকবচ দিয়েছেন বিচারপতি। সেই দিন কুণালকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

শিবসেনা বিধায়ক মুরজির অভিযোগের ভিত্তিতে মুম্বই পুলিশ কুণালকে জোড়া সমন পাঠায়। সোমবার ছিল হাজিরা দেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি হাজিরা না দেওয়ায় তাঁর বাড়িতে যায় পুলিশ। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কুণাল। তাঁর মন্তব্য, পুলিশের এই অভিযান সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। যে বাড়িতে পুলিশ গিয়েছিল, সেখানে তিনি ১০ বছর ধরে থাকেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement