কুলকার্নি বললেন এটা গণতন্ত্রের প্রতি আক্রমণ, নিন্দায় সরব আডবাণীও

শিবসেনা এই প্রতিবাদকে যতই ‘দেশভক্তের’ রং লাগানোর চেষ্টা করুক না কেন বিদ্বজ্জনেদের অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যে ভাবে এ দিন কুলকার্নিকে অপমানিত হতে হল শিবসেনার হাতে, তাতে চুপ করে বসে থাকতে পারেননি স্বয়ং লালকৃষ্ণ আডবাণীও। এক সময় আডবাণী ঘনিষ্ঠ সুধীন্দ্রের এই পরিণতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এটা প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। যে বা যাঁরা এটা করেছেন আমি এই প্রতিবাদের তীব্র নিন্দা করছি।” তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের ঘটনা দেশের পক্ষে উদ্বেগজনক। এটা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৫ ১৬:২০
Share:

মতের অমিল হলেই অসিহষ্ণুতা প্রকাশ করতে হবে, গণতন্ত্রে এটা কাম্য নয়। সুধীন্দ্র কুলকার্নির কালিমালিপ্ত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে এ কথা বলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। এক সময় আডবাণী ঘনিষ্ঠ সুধীন্দ্রের এই পরিণতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এটা প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। যে বা যাঁরা এটা করেছেন আমি এই প্রতিবাদের তীব্র নিন্দা করছি।” তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের ঘটনা দেশের পক্ষে উদ্বেগজনক। এটা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত।”

Advertisement

কালিমালিপ্ত হওয়ার পরেও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি প্রাক্তন কুলকার্নি। নিজের সবুজ জামা এবং গেরুয়া জহর কোটের দিকে দেখিয়ে তিনি বলেন,“এটা তাঁর মুখে কালি লেপা নয়, এই ঘটনা তিরঙ্গাকে কালিমালিপ্ত করার মতোই।” উদ্ধব ঠাকরেকে এই অনুষ্ঠানের কথা জানান তিনি। তার পরেও যে ভাবে আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটাল তাঁরা তা মোটেই কাম্য নয় বলে জানান কুলকার্নি। তিনি বলেন, “এটা গণতন্ত্র ও সংবিধানের প্রতি আক্রমণ। তাঁর সাফ জবাব, এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে তাঁদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। বই প্রকাশ অনুষ্ঠান যথা সময়েই হবে। এ প্রসঙ্গে কাসুরিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “শান্তিস্থাপনাই আমার মিশনের মূল লক্ষ্য। শিবসেনার প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে, তবে তা শান্তিপূর্ণ ভাবে করলেই ভাল হতো।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement