লাদাখে গলওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনা। —ফাইল চিত্র।
লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় এ বার ঘুরতে যেতে পারবেন পর্যটকেরা। ২০২০ সালে গলওয়ান উপত্যকায় চিনা ফৌজ়ের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল ভারতীয় সেনার। তার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে কূটনৈতিক শীতলতা চলে দু’দেশের মধ্যে। এ বার সেই গলওয়ান উপত্যকাকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। পাশাপাশি সিয়াচেনকেও পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার ভাবনাচিন্তা চলছে।
লাদাখের উপরাজ্যপাল (লেফটেন্যান্ট গভর্নর) কবিন্দর গুপ্ত বলেন, “পর্যটনের বিকাশের জন্য সিয়াচেন এবং গলওয়ানকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এর ফলে পর্যটকেরা লাদাখের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের অতুলনীয় প্রাকৃতিক শোভা দেখতে পারবেন। পাশাপাশি (জওয়ানদের) সাহস ও ত্যাগের ভাবনাকেও কাছে থেকে অনুভব করার এক অনন্য সুযোগ পাবেন।” বস্তুত, দেশের সামরিক সাফল্যের দিক থেকে গৌরবময় কিছু জায়গায় পর্যটনের বিকাশে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ‘ভারত রণভূমি দর্শন’ নামে একটি অ্যাপও চালু করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
দেশের সামরিক ইতিহাসের দিক থেকে গলওয়ান এবং সিয়াচেন উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ। সিয়াচেনকে বলা হয় বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র। আশির দশকে সিয়াচেন হিমাবাহে, পাঁচ বছর আগে গলওয়ান উপত্যকায় আগ্রাসী শত্রুসেনার বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনা যে বীরত্বের সাক্ষ্য রেখেছিল, তা এ বার দেশবাসীকে ঘুরে দেখার সুযোগ দেওয়া হবে।
সম্প্রতি ডোকলাম মালভূমির সিকিমের অংশও পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতের সিকিম, ভুটান এবং চিনের কিছু অংশ মিলিয়ে তৈরি ডোকলাম মালভূমি। ২০১৭ সালে এই মালভূমির ভুটানের অন্তর্গত একটি অংশে সড়ক নির্মাণের চেষ্টা করে চিন। ভারত তাতে আপত্তি জানাতেই উত্তেজনা ছড়ায়। ওই ঘটনার আট বছর পরে ডোকলামের ভারতীয় অংশ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।