Lakhimpur Kheri

Lakhimpur Kheri: লখিমপুর খেরির ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত, বলল উত্তরপ্রদেশের বিশেষ তদন্তকারী দল

গত ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে আশিসের গাড়ির তলায় চাপা পড়ে বিক্ষোভকারী চার কৃষকের মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরবর্তী হিংসায় চার জনের প্রাণ যায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:৩৭
Share:

গত ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে আশিসের গাড়ির তলায় চাপা পড়ে বিক্ষোভকারী চার কৃষকের মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ।

লখিমপুর খেরিতে কৃষক-মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় ​​মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্র ওরফে মনুর সমস্যা বাড়ছে। যোগীরাজ্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) আদালতে জানিয়েছে, এই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। ওই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার বিদ্যারাম দিবাকর তাঁর রিপোর্টে বলেছেন, এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়। আগে থেকে পরিকল্পনা করেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

Advertisement

সিজেএম আদালতে লখিমপুর খেরি-কাণ্ডে হত্যা, গুরুতর আহত করা এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ধারা যুক্ত করার অনুমতি চেয়েছেন বিদ্যারাম। মঙ্গলবার সব অভিযুক্তকে তলব করেছে আদালত।

আদালতে বিদ্যারাম জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যে প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে, তা থেকে তাঁদের মনে হয়েছে, লখিমপুর খেরিতে সে দিনের ঘটনার পিছনে সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল। তাই এই ঘটনায় ৩০৪ এ ধারা বাতিল করতে চান তাঁরা। সেই জায়গায় ৩০৭ ধারা (খুনের চেষ্টা) যুক্ত করতে চান। এ ছাড়াও ৩২৬, ৩৪, ২৭৯, ৩৩৮ এবং ৩০৪এ-র মতো ধারা যোগ করার অনুমতি চেয়েছেন তিনি।

Advertisement

সম্প্রতি ফরেন্সিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রের বন্দুক থেকে গুলি ছোড়া হয়েছিল। ওই রিপোর্ট বলছে, লখিমপুর-কাণ্ডের আর এক অভিযুক্ত অঙ্কিত দাসের বন্দুক থেকেও সে দিন চালানো হয়েছিল গুলি। আশিস এবং অঙ্কিতের বিরুদ্ধে কৃষকদের গাড়ির চাকায় পিষে খুন করার পাশাপাশি গুলি চালানোরও অভিযোগ রয়েছে। গত ৯ অক্টোবর আশিসকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তার কয়েক দিন পরেই উদ্ধার করা হয় তাঁর বন্দুক।

গত ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে আশিসের গাড়ির তলায় চাপা পড়ে বিক্ষোভকারী চার কৃষকের মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরবর্তী হিংসায় আরও চার জনের প্রাণ যায়। যদিও অজয়ের দাবি, ঘটনার সময় ওই গাড়িতে ছিলেন না আশিস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন