আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে মামলা

২০০৭ সালের ২৪ নভেম্বর দিসপুর সচিবালয়ের সামনে ‘অল অসম আদিবাসী স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’-এর (আসা) বিক্ষোভের সময় আন্দোলনকারীরা কয়েকটি দোকান, গাড়ি ভাঙচুর করেন। ক্ষিপ্ত জনতা আদিবাসীদের উপর চড়াও হয়। গণপ্রহারে দুই আন্দোলনকারী মারা যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৭ ০৩:২১
Share:

যোগী আদিত্যনাথ

যোগী আদিত্যনাথ আর অসমের তেজপুরের বিজেপি সাংসদ আর পি শর্মার বিরুদ্ধে মামলা করলেন অসমে আদিবাসী আন্দোলনের নেত্রী লক্ষ্মী ওঁরাং।

Advertisement

কারণ ‘ফেসবুক’।

২০০৭ সালের ২৪ নভেম্বর দিসপুর সচিবালয়ের সামনে ‘অল অসম আদিবাসী স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’-এর (আসা) বিক্ষোভের সময় আন্দোলনকারীরা কয়েকটি দোকান, গাড়ি ভাঙচুর করেন। ক্ষিপ্ত জনতা আদিবাসীদের উপর চড়াও হয়। গণপ্রহারে দুই আন্দোলনকারী মারা যান। জখম হন শতাধিক মানুষ। সচিবালয়ের কাছে বেলতলায় লক্ষ্মী ওরাংকে উলঙ্গ করে মারধর করা হয়েছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন: আদিত্যনাথের ফেসবুক পেজে লক্ষ্মী ওরাংয়ের ছবি ঘিরে মিথ্যা প্রচার, আন্দোলন অসমে

লক্ষ্মীদেবীকে গণপিটুনির সেই ছবি ১৩ জুন দেওয়া হয় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ‘ফেসবুক’-এ। কিন্তু তাতে ‘ক্যাপশন’ ছিল— ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করছেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। সেই ‘পোস্ট’ প্রায় ৩০ হাজার বার শেয়ার করা হয়। সেটি শেয়ার করেছিলেন তেজপুরের সাংসদ আর পি শর্মাও।

তাতেই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন লক্ষ্মীদেবী। আসা সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমিতি যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। অসমের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। সোমবার লক্ষ্মীদেবী আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর দাবি, যোগী আদিত্যনাথ ও সাংসদ শর্মাকে গ্রেফতার করতে হবে।

অসম পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত ডিজি পল্লব ভট্টাচার্য জানান, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে উত্তরপ্রদেশ বিজেপি জানিয়েছে, ফেসবুক-এ ওই ছবি দেননি মুখ্যমন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement