সিবিআই আদালতে হাজিরার পর আইনজীবীদের সঙ্গে আড্ডায় মাতলেন লালুপ্রসাদ যাদব।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় শুক্রবার রাঁচীর সিবিআই আদালতে বিচারক সাওন কুমার প্রসাদের এজলাসে হাজিরা ছিল লালুপ্রসাদের। আদালত থেকে বেরিয়ে গটগটিয়ে তিনি চলে যান দোতলায় বার অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে সেখানে দেখে হতবাক হয়ে যান আইনজীবীরা।
সাধারণত সিবিআই আদালতে হাজিরার পর সোজা গাড়িতে উঠে পড়েন লালু। আজ রুটিন বদলের কারণ জানতে চাইলে তিনি জবাব দেন, ‘‘দেখতে এলাম রাঁচীর আইনজীবীদের অফিসের হাল কেমন। কয়েক জন আইনজীবী বন্ধুর সঙ্গেও দেখা হয়ে গেল।’’ আইনজীবীদের সঙ্গে গল্পগুজবের সময় তিনি বলেন, ‘‘আমিও কিন্তু এলএলবি। রাজনীতিতে ঢুকে এই পেশায় আর কাজ করা হল না।’’
এ দিন লালুকে অন্য মেজাজে পেয়ে তাঁর সঙ্গে নিজস্বী তোলার হিড়িক ওঠে। কাউকেই নিরাশ করেননি আরজেডি শীর্ষনেতা। আইনজীবীদের আর্জিতে মিনিট দশেক মাইক নিয়ে হরেক কথা বলেন লালু। তবে বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি শব্দও তিনি খরচ করেননি।
রাঁচীর বার অ্যাসোসিয়েশনের অফিসের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘এই অফিসের পরিকাঠামো খুব সুন্দর। পটনায় বার অ্যাসোসিয়েশন অফিসের হাল খুব খারাপ। রাঁচীর অফিস দেখে ওঁদের শেখা উচিত।’’ লালুকে রাঁচীর বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার প্রস্তাব দেন আইনজীবীরা।
এ দিন দেওঘর ও চাইবাসা ট্রেজারির শুনানি ছিল বিচারক শিবপ্রসাদ সিংহ, প্রদীপ কুমার ও সাওন কুমার প্রসাদের এজলাসে। শিবপ্রসাদ সিংহের এজলাস থেকে মামলা অন্য কোর্টে নিয়ে যেতে পিটিশন দাখিল করেন লালু। তাঁর আইনজীবী জানান, ওই আর্জি ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে।