ভিড় নেই সভায়, নেতাদের হুমকি লালুর

কারও পৌষমাস, কারও মাথায় হাত। বিহারের নির্বাচনী প্রচারে এমন ছবিই উঠে আসছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:০৮
Share:

কারও পৌষমাস, কারও মাথায় হাত।

Advertisement

বিহারের নির্বাচনী প্রচারে এমন ছবিই উঠে আসছে।

এক দিকে, সভায় লোক না হওয়ায় লালুপ্রসাদ দলের নেতাদের হুমকি দিচ্ছেন। অন্য দিকে, বিজেপির সভায় ভিড় সামলাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করছে। যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, সভায় ভিড় দিয়ে ভোটের হাল বোঝা যায় না। নির্বাচনের সময়ে সভায় ভিড় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও সব সময় তা ভোটারদের মতি বোঝার অন্যতম লক্ষণ নয়।

Advertisement

আজ গয়ার আতরি বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভা করার কথা ছিল লালুপ্রসাদের। সকাল সাড়ে দশটার সময়ে সভাস্থলে পৌঁছে যান লালু। কিন্তু নেতারা হাজির হলেও লোক ছিল না। ওই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ক্রান্তিদেবীও তখন বাড়ি থেকে সভায় আসেননি। সব দেখে রীতিমতো রেগে যান আরজেডি শীর্ষ নেতা। মঞ্চে দাঁড়িয়েই তিনি দলের নেতাদের হুমকির সুরে বলেন, ‘‘নিজেদের ঠিক করো। এটা কিন্তু আমার শেষ হুঁশিয়ারি।’’ শ’খানেক লোকের সামনে বলতে ওঠেন লালুপ্রসাদ। সে সময়ে মাইকও খারাপ হয়ে যায়। তাতে তাঁর মেজাজ আরও বিগড়ে যায়। মাইকের দায়িত্বে থাকা লোকদেরও ‘পটকে’ দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

আরজেডির এক নেতা বলেন, ‘‘সাড়ে দশটায় সভার সময় ঠিক ছিল। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছিল ১১টার আগে তিনি আসবেন না। সময়ে পৌঁছে যাওয়াতেই বিপত্তি হয়েছে।’’ সভায় লোক না আসায় লালুকে নিয়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কেও আলোচনা শুরু হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ কটাক্ষ করে লেখেন— ‘লালুর সভায় শুধু লালুই এসেছেন। না সাধারণ মানুষ এসেছে, না তাঁর দলের প্রার্থী।’

অন্য দিকে, এনডিএ-র হয়ে প্রচারে আসা অভিনেতা অজয় দেবগনকে দেখার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় বিহারশরিফে। হুড়োহুড়ির জেরে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। জখম হন কয়েক’শো বিজেপি কর্মী-সমর্থক। অভিযোগ, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সময়ে পুলিশের লাঠিচার্জের জেরে অবস্থা খারাপ হয়। ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা সভাস্থলে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করতে শুরু করে। অবস্থা দেখে হেলিকপ্টার থেকে নামলেও নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে ভিড়ের খবর দেন। দেরি না করে তাঁকে হেলিকপ্টারে তুলে দেওয়া হয়। তিনি চলে যান। এরপরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। কয়েক জন পুলিশ কর্মী জখম হন। অজয় দেবগন চলে গেলেও ভিড় সরতে চাইছিল না। পুলিশ কর্মীরা বারবার আবেদন করার পরে জনতা না যাওয়ায় লাঠিচার্জ করে সবাইকে হঠিয়ে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন