লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে ট্রেন চলাচল এখনও অনিশ্চিত। ডিমা হাসাও জেলায় লাগাতার বৃষ্টির জেরে ১৫ দিন ধরে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিষেবা শুরুর বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারছেন না উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ।
আজ রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নৃপেন্দ্র ভট্টাচার্য জানান, আগামী কালও ওই লাইনে গুয়াহাটি-শিলচর, শিলচর-গুয়াহাটির মধ্যে ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ও নয়াদিল্লি-শিলচর সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। তবে নয়াদিল্লি-গুয়াহাটির মধ্যে ট্রেনটি চলবে।
টানা বৃষ্টিতে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজে মাইগ্রেনডিসা-মাহুরের মধ্যে ৯২ কিলোমিটার অংশ ও ফাইডিং স্টেশনের কাছে ধস নেমে লাইনের ক্ষতি হয়েছে। মাইগ্রেনডিসা-মাহুরের মধ্যে ৯২ কিলোমিটার অংশের ৮ নম্বর সুড়ঙ্গের পাশে ২০০ মিটার লাইনের উপর গার্ড-ওয়াল ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টি হলেও যাতে ফের পাহাড় থেকে ধস লাইনে নেমে আসতে না পারে, সে দিকে তাকিয়ে ওই এলাকায় লাইন সংলগ্ন পাহাড় কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের নির্মাণ শাখা। মাইগ্রেনডিসা-মাহুরের মধ্যে ধসবিধ্বস্ত ২০০ মিটার অংশে লাইন সারানোর কাজ শেষ। কিন্তু সেখানে লাইনের নীচের মাটি জলে ভিজে ফুলে উঠছে। তাতে লাইন বেঁকে যাচ্ছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নির্মাণ শাখা সূত্রে খবর, ১০ জুনের আগে কোনও ভাবেই ওই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে না। তবে তা-ও নির্ভর করছে আবহাওয়ার মেজাজের উপর।
১৫ দিন ধরে লামডিং-শিলচর লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বরাক উপত্যকা-সহ ত্রিপুরা, মনিপুর,মিজোরাম ও ডিমা হাসাও জেলার মানুষ দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন।