ভোরবেলার গুমগুম শব্দে চমকে উঠেছিল ওরা। কারণ শব্দটা ওদের চেনা, খাদানে ধস নামার শব্দ। গিরিডির বেনিয়াডিহর সিসিএলের কয়লা খাদানের আশপাশের খনি শ্রমিকরা ছুটে গিয়ে দেখেন, আচমকাই খনিগহ্বরে ধস নেমেছে। কয়েকজন শ্রমিক আটকে গিয়েছে ধসে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধারের কাজ।
তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ওই ধস থেকে দু’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে একজন জীবিত, অন্যজন মৃত। আরও বেশ কয়েক জন
ওই ধসে চাপা পড়ে আছে বলে পুলিশের অনুমান।
গিরিডির এসপি কুলদীপ দ্বিবেদি বলেন, ‘‘ঘটনাটি ঘটেছে কোল ইন্ডিয়ার সেন্ট্রাল কোলফিল্ডের (সিসিএল) বেনিয়াডিহ প্রোজেক্টের করলিবাগ খনিতে। এই খনিতে স্থানীয় কিছু লোকের মদতে বেআইনি কয়লা তোলার কাজ চলছিল। সেই সময়েই ধস নামে।’’ সিসিএল-এর কোনও কয়লা খাদানে কর্তৃপক্ষের চোখের আড়ালে কী ভাবে বেআইনি কয়লা তোলার কাজ হচ্ছিল, এই ঘটনায় সেই প্রশ্নও উঠেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বেনিয়াডিহর করলিবাগ খাদানের যেখান থেকে বেআইনি ভাবে কয়লা তোলা হচ্ছিল, সেই জায়গাটিতে ইতিমধ্যেই আইনি কয়লা তোলার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। চোরাই কয়লা তুলতে গিয়ে আগেও এ রকম ধস নেমে দুর্ঘটনা ঘটেছে। যারা ওই খাদানে নেমেছিল তারা গভীর রাতে এসেছিল বলেই পুলিশের অনুমান। প্রশ্ন উঠেছে, সিসিএল কেন এই ব্যাপারে অতিরিক্ত সতর্কতা নেয়নি?
গিরিডির জেলাশাসক উমাশঙ্কর সিংহ বলেন, ‘‘কেন সিসিএল অতিরিক্ত সতর্কতা নেয়নি তা তদন্ত করে দেখা হবে।’’ তবে এই নিয়ে সিসিএল এর কোনও উচ্চপদস্থ কর্তা মুখ খোলেননি। এমনকী ঘটনাস্থলে সিসিএল-এর কর্মীদের দেখা গেলেও কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিককে দেখা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে উদ্ধার কাজ চলছে।