ওড়িশায় ধসে মৃত ১২

প্রশাসন জানিয়েছে, বৃষ্টির সময়ে রায়গড়া ব্লকের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলেছিলেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:০০
Share:

তিতলির জেরে জোর বৃষ্টিতে ধস নামল ওড়িশায়। ছবি: এএফপি।

ঘূর্ণিঝড় তিতলির জেরে আসা জোর বৃষ্টিতে ধস নামল ওড়িশার গজপতি জেলায়। তাতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ জনে। অন্য দিকে তিতলির ধাক্কা সামলাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১২০০ কোটি টাকা চেয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার।

Advertisement

প্রশাসন জানিয়েছে, বৃষ্টির সময়ে রায়গড়া ব্লকের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলেছিলেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা। কিন্তু তাঁদের একাংশ সরতে রাজি হননি। বৃষ্টির সময়ে কয়েক জন গ্রামবাসী রায়গড় ব্লকের বারঘরা এলাকায় একটি গুহায় আশ্রয় নেন। বৃষ্টির জেরে ধস নামে। তাতেই গুহা ধসে পড়ে। চাপা পড়েন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান প্রবীণ বিজেডি নেতা চন্দ্রশেখর সাহু ও প্রশাসনিক কর্তারা। পৌঁছয় উদ্ধারকারী দলও। চন্দ্রশেখর সাহুর কথায়, ‘‘অন্তত ১২টি মৃতদেহ আমি দেখতে পেয়েছি।’’ গুহার মধ্যে আরও তিন জন গ্রামবাসী এখনও আটকে রয়েছেন বলে ধারণা উদ্ধারকারীদের। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আজ আকাশপথে ঘূর্ণিঝড়- বন্যায় বিধ্বস্ত গঞ্জাম, গজপতি ও রায়গড় জেলা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের জন্য ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। এ দিনই প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্যের মুখ্যসচিব এ পি পাধি জানিয়েছেন, গঞ্জাম জেলার আসকা ও পুরুষোত্তমপুরে আকাশ থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলা শুরু হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন