ব্রহ্মপুত্রের সেই ঘোলা জল। ছবি- সংগৃহীত।
না, ব্রহ্মপুত্রের ঘোলা জলের পিছনে চিনের হাত নেই। চিনা নির্মাণকাজের জন্য ব্রহ্মপুত্রের জল ঘোলা হচ্ছে না। ওই নদের জল ঘোলা হওয়ার কারণ, তিব্বতে একের পর এক ভূমিকম্প। যা ওই এলাকায় বিশাল ধস নামিয়েছে। আর তার ফলেই মাটি গিয়ে মিশেছে ব্রহ্মপুত্রের জলে। নদের জলকে ঘোলা করেছে।
কেন্দ্রীয় জল কমিশনের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, উপগ্রহ চিত্রেই এটা জানা গিয়েছে।
গত মঙ্গলবার আগে লোকসভার জিরো আওয়ারে বিজেডি সাংসদ ভর্তৃহরি মহতাব বলেছিলেন, ‘‘চিনের নির্মাণকাজের জন্যই ব্রহ্মপুত্রের জল ঘোলা হয়ে যাচ্ছে।’’ গত ১৩ ডিসেম্বর অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালের অফিস জানিয়েছিল, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বিদেশ মন্ত্রক অসম সরকারকে জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তারা চিনের সঙ্গে শীঘ্রই কথা বলবে।
আরও পড়ুন- মুম্বইয়ের কাছে ক্যাবের মধ্যে তরুণীকে ধর্ষণ চালকের
আরও পড়ুন- স্কুটারে গিয়েছে মোষ! ওটাই ক্লু ‘বিশ্বাসদা’র
কেন্দ্রীয় জল কমিশনের সদস্য (নদী সংরক্ষণ) প্রদীপ কুমার বলেছেন, ‘‘মোটেই তা নয়। উপগ্রহ চিত্র ও বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস এবং অশোকা ট্রাস্ট ফর রিসার্চ ইন ইকোলজি অ্যান্ড দ্য এনভায়রনমেন্টের গবেষণা দেখিয়েছে, গত ১৭ নভেম্বর তিব্বতের গায়লা পেরি পর্বতশৃঙ্গের তলায় রিখটার স্কেলে ৬.৪ মাত্রার যে ভূকম্পন হয়েছিল, তার ফলে ধস নেমেছিল ১০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। তার এক সপ্তাহের মধ্যে এলাকার ৪০ কিলোমিটার ব্যাসার্দ্ধের অঞ্চলে ৪-এরও বেশি মাত্রার আরও ৬টি ভূকম্পন হয়েছিল। সেই ধসের ফলেই মাটি গিয়ে মিশেছিল ব্রহ্মপুত্রের জলে। তাই ঘোলা হয়ে গিয়েছে ব্রহ্মপুত্র্রের জল।’’