Mahua Moitra

এথিক্স কমিটির সামনে হাজির মহুয়া, ২৪ ঘণ্টা আগে ‘পোস্টে’ কী বললেন প্রাক্তন বান্ধব দেহাদ্রাই

টাকা নিয়ে প্রশ্নকাণ্ড নিয়ে যখন সংসদের এথিক্স কমিটির প্রশ্নের মুখে পড়ছেন মহুয়া, তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে তাঁর প্রাক্তন বন্ধুর পোস্টের নিশানায় কি মহুয়াই, তা নিয়ে নতুন জল্পনা দানা বেঁধেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৪৯
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

টাকা নিয়ে প্রশ্নকাণ্ডে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাইয়ের। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয় মৈত্রের প্রাক্তন বান্ধব দেহাদ্রাইয়ের এই পোস্ট ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন জল্পনা। যদিও নিজের এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) করা পোস্টে কারও নাম করেননি তিনি। টাকা নিয়ে প্রশ্নকাণ্ড নিয়ে যখন সংসদের এথিক্স কমিটির প্রশ্নের মুখে পড়ছেন মহুয়া, তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে তাঁর প্রাক্তন বান্ধবের পোস্টের নিশানায় কি মহুয়াই, তা নিয়ে নতুন জল্পনা দানা বেঁধেছে।

Advertisement

মহুয়া কমিটির সামনে তাঁকে জেরা করতে চেয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জয় বলেছেন, “আমি কাউকে ভয় পাই না। আমি কারও ভয়ে চুপ করেও থাকব না। আমাকে এ ভাবে দমানোও যাবে না। যা সত্য সেটাই প্রতিষ্ঠিত হবে। সারা দেশ দেখছে, কে কী করেছেন! এবং এখন কে কী করছেন!”

বুধবার সকালে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন দেহাদ্রাই। তাতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর সঙ্গেই দেখা যাচ্ছে অধুনা বিতর্কিত রটওয়েলার কুকুর হেনরিকেও। উপরে তিনি লিখেছেন দু’টি ইঙ্গিতপূর্ণ লাইন। তার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘‘যে ব্যক্তি দুর্নীতি এবং জাতীয় সুরক্ষার সঙ্গে আপোস করার অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি আসলে আরও বড় দোষে দোষী। এবং না, আমি আমার কুকুর চুরি যাওয়ার কথা বলছি না।’’ গোটা পোস্টে কোথাও মহুয়ার নাম করেননি দেহাদ্রাই।

Advertisement

টাকা নিয়ে প্রশ্নকাণ্ডের প্রেক্ষিতে ইদানীং শিরোনামে উঠে এসেছে রটওয়েলার হেনরি। সে কার কাছে থাকবে, তা নিয়ে মহুয়া এবং দেহাদ্রাইয়ের মধ্যে সমস্যা চলেছে। যে গোলমালের প্রেক্ষিতে দেহাদ্রাইকে খোঁচা দিয়ে মহুয়া তাঁকে অভিহিত করেছিলেন, ‘প্রেমে হতাশ প্রাক্তনী’ হিসাবে।

গত মাসেই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দেহাদ্রাইয়ের লেখা একটি চিঠি তুলে ধরে দাবি করেন, শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ টাকা এবং উপঢৌকনের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করে থাকেন। দেহাদ্রাই সেই চিঠিতে দাবি করেন, সংসদে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন করার জন্য তৃণমূল সাংসদ হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন, এর অকাট্য প্রমাণ তাঁর কাছে আছে।

হিরানন্দানি গোষ্ঠী প্রাথমিক ভাবে সমস্ত অভিযোগ এড়িয়ে যায়। দাবি করে, তারা ‘রাজনীতির ব্যবসা’য় নেই। যদিও কয়েক দিনের মধ্যেই হিরানন্দানি একটি বিস্ফোরক হলফনামা জমা দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন