ভুয়ো খবর পিছু ছাড়ল না ভয়াবহ দুর্যোগকেও। কেরলের বিপর্যয়ের মধ্যেও ভুয়ো খবর অর্থাৎ ফেক নিউজের দাপট ছিল অব্যাহত। বিভিন্ন সময়ে এই ভুয়ো খবর অহেতুক আতঙ্ক তৈরি করে। বিভিন্ন সময় সময় তৈরি হয় বিভ্রান্তি। সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি দেখে নেওয়া যাক সেই রকমই কিছু ভুয়ো খবর।
একটি খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে যে, কেরলের মানুষের খাবার ও স্যানিটারি ন্যাপকিনের কোনও দরকার নেই। যথেষ্ট পরিমাণ রসদ কেরলেই আছে। তাই বাইরে থেকে ত্রাণ আসা ভালভাবে নিচ্ছেন না কেরলের মানুষ। এই খবর সর্বৈব মিথ্যা। কেরলের ত্রাণের প্রয়োজনীতা যথেষ্টই আছে।
সেনা অফিসারের পোশাক পরা এক ব্যক্তির ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনি কেন ভারতীয় সেনাকে কাজ করতে দিচ্ছেন না।’’ ভারতীয় সেনা বিষয়টি জানতে পারার পর ভিডিয়োটিকে ভুয়ো বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা পোস্ট দেয়।
মালয়ালিদের অন্যতম উৎসব ‘ওনাম’ বাতিল করা হয়েছে, এই খবরও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু একটি উৎসব এভাবে বাতিল হতে পারে না। বিপর্যয়ের জন্য শুধুমাত্র আড়ম্বর কমানোর কথা জানিয়েছিল কেরল সরকার।
মুল্লাপেরিয়ার বাঁধে ফাটল ধরেছে, এই খবরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রশাসনের কর্তারাও। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেচ দফতরের এক আধিকারিক পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানান, বাঁধে কোনও ফাটল নেই, বাঁধ সুরক্ষিতই আছে।
কেরল স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড পরিষেবা পুরোপুরি বাতিল করেছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু, আসল ঘটনা হল খারাপ আবহাওয়ার জন্য বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারেনি বিদ্যুৎ দফতর। নিরাপত্তার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবেও কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়নি।
সাইবার অপরাধীরাও নেমে পড়েছিল বিপর্যয়ের সুযোগ নিয়ে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ত্রাণের নামে টাকা তোলার সময় অনেকের আধার নম্বর, প্যানকার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে।