সোনা জমা প্রকল্পে ১৬ মাসে সংগ্রহ নামমাত্র

প্রত্যাশা মতো সাড়া মিলছে না নরেন্দ্র মোদী সরকারের সোনা জমা প্রকল্পে।সাধারণ গৃহস্থের কাছে ও বিভিন্ন মন্দিরে প্রায় ২৪ হাজার টন সোনা রয়েছে। কিন্তু সরকারি ও ব্যাঙ্কিং শিল্প সূত্রের খবর, প্রকল্প চালুর ১৬ মাস বাদে ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে মাত্র ৭ টন সোনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৭ ০২:৫০
Share:

প্রত্যাশা মতো সাড়া মিলছে না নরেন্দ্র মোদী সরকারের সোনা জমা প্রকল্পে।

Advertisement

সাধারণ গৃহস্থের কাছে ও বিভিন্ন মন্দিরে প্রায় ২৪ হাজার টন সোনা রয়েছে। কিন্তু সরকারি ও ব্যাঙ্কিং শিল্প সূত্রের খবর, প্রকল্প চালুর ১৬ মাস বাদে ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে মাত্র ৭ টন সোনা। অলস ভাবে পড়ে থাকা ওই সোনা সুদের বিনিময়ে ব্যাঙ্কে জমা রাখার প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকার চালু করে ২০১৫-র নভেম্বরে। লক্ষ্য ছিল ওই সোনা গলিয়ে তা গয়না প্রস্তুতকারীদের কাছে জোগান দেওয়া, যাতে বিপুল পরিমাণ সোনা আমদানিতে রাশ টানা সম্ভব হয়। কিন্তু সামান্য সুদ এবং সেই সঙ্গে খাদ বাদ দিয়ে গয়না থেকে খাঁটি সোনা বার করে আনার খরচের কারণে অনেকেই এই প্রকল্প পছন্দ করছেন না বলে ধরা পড়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে। তবে এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রক মন্তব্য করতে চায়নি।

আরও পড়ুন: ভাবনায় এ বার রাষ্ট্রপতি পদে নিজেদের প্রার্থী

Advertisement

ব্যাঙ্কিং সূত্রের মতে, প্রকল্পে সাড়া না-মেলার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে:

১) সুদের হার বছরে মাত্র ২.৫ শতাংশ। ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখলে হাতে আসে ৭ থেকে ৮ শতাংশ।

২) সোনার মালিককেই খাদ থেকে খাঁটি সোনা আলাদা করার খরচ দিতে হয়।

৩) পারিবারিক ঐতিহ্য ও সম্পদ হিসেবে গয়নার প্রতি ভারতীয়দের আকর্ষণ।

এ প্রসঙ্গে কোটাক মহীন্দ্রা ব্যাঙ্কের এগ্‌জিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখর ভাণ্ডারী বলেন, ‘‘কেউ যদি ২৫ গ্রাম গয়না প্রকল্পে জমা করার জন্য পরীক্ষা করিয়ে খাঁটি সোনায় বদলে নিতে চান, তা হলেই তার ৩ থেকে ৪ শতাংশ মূল্য খোয়াতে হবে তাঁকে।’’ ব্যাঙ্ক মালিকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফেও অভিযোগ, এই প্রকল্পে সোনা জমা নিয়ে ব্যাঙ্কগুলির হাতেও লাভ প্রায় থাকে না। ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন এই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে প্রকল্পটি ফিরে দেখতে আর্জি জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন